আবহাওয়া
বাড়ছে তাপমাত্রা, ছুঁল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কয়েক দিন ধরেই দেশের ভেতরে তাপমাত্রার পারদ চড়া। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই করছিল। এবার এক ধাক্কায় তা পেরিয়ে গেল। চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই মাত্রাই চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। টানা ১২ দিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস করছে এ জেলার জনজীবন।
রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এদিন দুপুর ১টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে প্রকৃত তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি।
প্রতিদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরে ওঠায় হাঁসফাঁস জনজীবন। নগরে গাছপালার অভাবে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। হাঁপিয়ে উঠছে মানুষ। পশু-পাখিও আছে কষ্টে। প্রায় সারা দেশেই একই অবস্থা।
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে অব্যাহত মাঝারি তাপপ্রবাহে থমকে গেছে জীবনযাত্রা। সূর্যের গনগনে আঁচে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত টানা ১২ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। যা গত ১০ বছরের রেকর্ড। বুধবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রখর তাপের পাশাপাশি অতিরিক্ত বাতাসের আদ্রতা থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। প্রখর রোদে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ।
একটু স্বস্তির জন্য ছায়াযুক্ত স্থানে বসে থাকছে মানুষ। তেমন জনসমাগম নেই হাট বাজারে। তীব্র তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভুট্টা, ধান, গমসহ মাঠের অন্য ফসল। নষ্ট হয়ে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বাড়তি সেচ দিতে হচ্ছে ফসলে।
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের ভ্যান চালক জমির হোসেন বলেন, ‘আমার ৫০ বছর বয়সী জীবনে এমন তাপ কুনুদিন দেকিনি। এই তাপে গা পুড়ি যাচ্চি। কাজের জন্যি বের হয়িও কাজ করতি পারচিনি। ছায়ায় বসি থাকতি হচ্চি।’
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা ও এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত টানা ১২ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া
দেশের ৯ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় হাওয়ার সম্ভাবনা
ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে দেশের নয়টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী,ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও,বৃহস্পতিবার বরিশাল, চট্টগ্রাম , সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
জেডএস/
আবহাওয়া
ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস
ঢাকাসহ দেশের ১২টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই মেঘলা রয়েছে ঢাকার আকাশ। এরই মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টিতে ভিজেছে রাজধানী।
আই/এ
আবহাওয়া
দেশের সব বিভাগেই হতে পারে ভারী বৃষ্টি
দেশের ১০ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, যশোর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, নোয়াখালী, খুলনা, ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, হরিয়ানা,পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের সবগুলো বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে । এছাড়াও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
জেডএস/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন