আওয়ামী লীগ
আ. লীগ ২১ বছর সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করেছে: শেখ পরশ
বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আজকে ওরা হত্যা, খুন-গুমের কথা বলে। আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। ঈদ উপহার বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বললেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর কালাচাঁদপুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপহার বিতরণের কর্মসূচি করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ। উপহার বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজকে ওরা হত্যা, খুন-গুমের কথা বলে। আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। যাদের জন্মের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে। একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছে, অন্যদিকে সাংবাদিকদের গায়ে হাত দিচ্ছে, পুলিশেল উপর চড়াও হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আজ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে বিদেশীদের কাছে নালিশ করছে বিএনপি। তাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তারা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অনেক সরকার দেখেছি কিন্তু, এই সততা ও ন্যায়পরায়ণতা আর কোনো সরকার দেখাতে পারে নাই এই ৫০ বছরে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার খুলে পড়ে দেখুন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নাই, যেটা শেখ হাসিনা সরকার পূরণ করেন নাই।
সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা যখন মানুষের সেবা করছি তখন দেশবিরোধী শক্তি দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। কোনো বিদেশি প্রভু দিয়ে ক্ষমতার বদল হবে না। কে ক্ষমতায় থাকবে না থাকবে, তা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। জনগণ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. এনামুল হক খান, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন