বাংলাদেশ
৫০ এ শচিন, সেরা ৫০ উক্তি
আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) শচিন টেন্ডুলকারের ৫০তম জন্মদিন। গোটা একটা প্রজন্ম যাকে নিয়ে মাতোয়ারা, যাকে অন্ধের মতো অনুসরণ করতেন সমর্থকরা, যিনি আউট হলে টিভি বন্ধ করে দিতেন, সেই শচিনের ৫০তম জন্মদিন। শচিন শুধু ভারতের একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি আবেগ। গোটা জীবনে বহু কথা বলেছেন। আত্মজীবনী লিখেছেন। মাস্টার ব্লাস্টারের জন্মদিনে তার সেরা ৫০টি উক্তি তুলে ধরা হলো।
১) স্বপ্নের পিছনে ধাওয়া কোরো না। কারণ স্বপ্ন সত্যি হয়।
২) লোকে তোমার দিকে পাথর ছুড়বে এবং তুমি সেটাকে মাইলফলকে পরিণত করবে।
৩) আমি কখনও নিজেকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করার চেষ্টা করিনি।
৪) চাপের পরিস্থিতি সামলানোর চাবিকাঠি হল নিজেকে স্থিতধী রাখা, নিজের ক্ষমতার উপর আস্থা রাখা এবং পরিষ্কার ভাবনাচিন্তা করা।
৫) বিশ্বকাপ হল একটা প্রক্রিয়া। আমরা কখনওই এক লাফে ৫০ তলায় উঠতে পারি না। শুরুটা করতে হয় নীচের তলা থাকায়।
৬) আমি হারতে ঘৃণা করি এবং ক্রিকেটই আমার প্রথম প্রেম। মাঠে ঢুকলে আমার চারপাশের পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তখন একটাই লক্ষ্য থাকে, জয়।
৭) সমালোচনা কখনও আমায় ক্রিকেট খেলতে শেখাননি, তাই তাঁরা জানেন না আমার শরীর এবং মনের ক্ষমতা কতটা।
৮) প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব স্টাইল থাকে, নিজের মতো করে মাঠে এবং মাঠের বাইরে উপস্থাপন করার রাস্তা থাকে।
৯) ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আমি কখনও ভাবিনি কত দূর যেতে পারব। নিজের জন্য কোনও লক্ষ্যমাত্রাও রাখিনি।
১০) ক্রিকেটজীবনে আমি কখনও খুব দূরের দিকে তাকাইনি। বরাবর একটা একটা করে বিষয় লক্ষ্য রেখে এগিয়ে গিয়েছি।
১১) স্বপ্নকে ধাওয়া করো। কিন্তু সেটা পূরণ করার জন্য শর্টকাট খুঁজতে যেয়ো না।
১২) বাইশ গজে খুব সাধারণ ভাবে খেলতেই পছন্দ করি। বলটা দেখো এবং তার প্রকৃতি অনুযায়ী চালাও
১৩) ক্রিকেট খেলার সময় পরিবারের সকলে আমাকে সমর্থন করেছে। শুধু আমার বাবা বরাবর বলতেন, যখনই মাঠে নামব, তখন ফলের চিন্তা না করে নিজের সেরাটা যেন দিই।
১৪) যখন ক্রিকেটের জন্য ভাবনাচিন্তার সময় থাকে, তখন ভাবি। কিন্তু পরিবারের জন্য সময় থাকলে জীবনের সেই বিষয়টাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখি।
১৫) চেষ্টা করা এবং মাঠে নেমে ১০০ শতাংশ দেওয়া সব সময় নিজের হাতেই থাকে।
১৬) জীবনে কোনও সময় পড়ে গেলে উঠে দাঁড়াতে শেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১৭) আজ আমি যা, তার জন্যে দায়ী আমার লড়াকু মানসিকতা। ওটাই আমাকে বাকিদের থেকে এগিয়ে রেখেছে।
১৮) জীবনে যে উচ্চতাতেই পৌঁছে যাও না কেন, আরও উন্নতি করার চেষ্টা কখনও থামিয়ো না।
১৯) বছরের পর বছর ক্রিকেট খেলে শিখেছি, যে কোনও চ্যাম্পিয়ন দলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য স্রেফ একটা সুযোগের দরকার হয়।
২০) ক্রিকেট খেলার সময় কখনও ভাবতে নেই যে এটা কম বা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ক্রিকেটে সব ম্যাচই সমানয়
২১) কোনও ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামলে সব সময় ছোট ছোট লক্ষ্যমাত্রা রেখে এগনো উচিত।
২২) ফলাফল যা-ই হোক না কেন, আমি মাঠে নামলে ছ’ঘণ্টা মন দিয়ে ক্রিকেট খেলতে চাই। বাকি যা হবে দেখা যাবে।
২৩) আমি এক জন ক্রীড়াবিদ। রাজনীতিবিদ নই। সারাজীবন ক্রীড়াবিদই থাকব। ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে কোনও দিন রাজনীতিতে ঢুকব না। ক্রিকেটই আমার জীবন।
২৪) ক্রিকেট খেলা শুরুর করার সময়ে একটাই জিনিস ভাবতাম, একদিন ভারতের হয়ে খেলতে হবে। নিজের উপর বিশ্বাস ছিল যে সেটা পারব।
২৫) আমার মতে, কেউ যদি দীর্ঘ দিন ধরে ক্রিকেট খেলে তা হলে তাঁর একটা নিজস্ব পরিচিতি তৈরি হয়ে যায়।
২৬) আপনি যদি জীবনে কোনও পরিকল্পনা কাজে লাগাতে না পারেন, তা হলে কোনও দিন কিছু করতে পারবেন না।
২৭) শুধু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করাই জীবনের আসল কথা নয়। মাঝে মাঝে চুপচাপ বসে থেকে সময় অনুযায়ী ঝাঁপিয়ে পড়াকেও সাহসিকতা বলে।
২৮) কখনও আমি ব্যর্থ হই। কখনও সফল। যেটাই হোক, তাতেই খুশি হই। অনেকটা প্যাকেজ ডিলের মতো। সাফল্য এবং ব্যর্থতা, দুটোই প্যাকেজে আসে।
২৯) যদি আপনি ভদ্র হন তাহলে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পরেও ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা পাবেন। অভিভাবক হিসাবে আমি চাইব লোকে ‘সচিন দারুণ ক্রিকেটার ছিল’র থেকে ‘সচিন খুব ভাল মানুষ ছিল’ বলুক।
৩০) আমি সেই ১১ জন ভাগ্যবান ক্রিকেটারের একজন ছিলাম যে ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলেছে। এই স্বপ্ন কোটি কোটি উঠতি ক্রিকেটার দেখে। তবে সমর্থকদের প্রতি একটা দায়বদ্ধতাও ছিল। ওদের কোনও দিন হতাশ দেখতে চাইনি।
৩১) আগ্রাসন এবং সাবধানতার মধ্যে ব্যবধান খুবই সুক্ষ্ম। দুটো মিশিয়েই ক্রিকেট খেলতে হয়।
৩২) ক্রিকেট খেলতে গিয়ে জীবনে অনেক শিক্ষা পেয়েছি। ক্রিকেট আমাকে শিখিয়েছি কী ভাবে সারাজীবন সৎ থাকতে হয় এবং সততার সঙ্গে খেলতে হয়
৩৩) যে কোনও বল খেলার জন্যে আমার কাছে ০.৫ সেকেন্ড সময় থাকত। কখনও তার থেকেও কম। তখন কে কী বলেছে আমার নামে সে সব মাথায় থাকত না। আমার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি যা, সেটাই করতাম। তাই কখনও সমালোচনাকে পাত্তা দিইনি।
৩৪) ক্রিকেট যে খেলেছে, সে কেরিয়ার শেষ হওয়ার পরে ক্রিকেট নিয়ে ভাববে না এটা হতে পারে না। এ রকম কোনও মানুষের সঙ্গে আমার অন্তত পরিচয় হয়নি।
৩৫) বাবাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। বাবাকে দেখেই আচরণ, সহবৎ শিখেছি। বাবা শান্ত ছিল। কখনও রাগতে দেখিনি। নিজেও সেটা অনুকরণ করেছি।
৩৬) ভারতে অনেক স্কুলে খেলার মতো মাঠ নেই। আবার অনেক জায়গায় থাকলেও কাজে লাগানো হয় না। আমি চাই না এমন ক্রিকেট বা ফুটবল মাঠ দেখতে যেখানে শুধু গরু চরে।
৩৭) ১৫ বছর বয়স থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকেই টেস্ট ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলাম। আমার জীবনে প্রথম লক্ষ্য ছিল ওটাই।
৩৮) ক্রিকেটে ব্যক্তি আক্রমণ করা উচিত নয়। ক্রিকেট দলগত খেলা। তাই যে কোনও ফলাফলের কৃতিত্ব সকলের।
৩৯) ওয়াসিম এবং ওয়াকার আমার জীবনের সেরা দুই জোরে বোলার। যা-ই হোক না কেন, সবার আগে ওদেরই রাখব।
৪০) ব্যাটার হিসাবে আমার বরাবর লক্ষ্য থাকত প্রতিনিয়ত নিজের উন্নতি করা এবং বাকিদের দিকে লক্ষ্য রাখা এবং তাদের থেকেও ভাল ক্রিকেট খেলা।
৪১) কোনও দিন কোনও তুলনায় বিশ্বাস করিনি। বিভিন্ন যুগ, খেলোয়াড় বা কোচ যা-ই হোক না কেন, তুলনা টানা অপছন্দ করতাম।
৪২) জীবনে কখনও রানার নিয়ে খেলিনি। কারণ একমাত্র আমিই জানতাম যে শটটা কত জোরে মেরেছি এবং কত দূর যেতে পারে। আমার রানারের পক্ষে সেটা জানা সম্ভব ছিল না।
৪৩) ক্রিকেটে প্রতিটি যুগের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। সেটা ক্রিকেটার বা কোচ যে-ই হোক না কেন, নিজেদের যুগে তারা সেরা হতেই পারে।
৪৪) আমার কাছে আসল ম্যাচ শুরু হওয়ার অনেক, অনেক আগে ম্যাচ শুরু হয়ে যেত। এতটাই প্রস্তুতি নিতাম এবং মানসিক ভাবে তৈরি হতাম।
৪৫) যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছেই ফোকাস এবং সঠিক মানসিকতা খুব দরকার। নিজের শক্তি অন্যত্র সঞ্চারিত হলে ফলাফলও আপনার অনুকূলে থাকবে না।
৪৬) মনকে বেশি ভাবতে দিলে চলবে না। মন খালি আপনাকে বলবে এটা হতে পারে, ওটা হতে পারে। এটা আউটসুইং হতে পারে, ওটা ইনসুইং হতে পারে। নিজের বিশ্বাসের প্রতি ভরসা রাখতে হবে।
৪৭) জীবন একটা বইয়ের মতো, যার অনেক অধ্যায় রয়েছে। আপনি অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন। সাফল্য এবং ব্যর্থতা পাবেন। কোনটা নেবেন সেটাই আপনার আসল ক্ষমতা।
৪৮) সাফল্য এবং খুশি আপনার শিক্ষক হতে পারে না। আপনি আসল শিক্ষা তখনই পাবেন, যখন আপনি হতাশ এবং ব্যর্থ হবেন।
৪৯) কখন সুইচ অন এবং সুইচ অফ করা দরকার সেটা আমি ভালই জানতাম। বাকি জিনিসগুলো সেই অনুযায়ী আবর্তিত হত। ক্রিকেট থাকত সবার আগে, বাকি সবকিছু পরে।
৫০) আমি আগে কখনও অর্জুনের খেলা দেখতে যাইনি। শুধু চেয়েছিলাম, ও যা করতে চায় স্বাধীন ভাবে করুক। নিজের ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করুক।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন