সিলেট
জগন্নাথপুরে উপ-নির্বাচনে আরোও ৪জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, জমিয়ত মনোনীত খেজুর গাছ প্রতীকের প্রার্থী ইউরোপ জমিয়ত নেতা মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম কামালী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন রাশীদ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও মীরপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিশিষ্ট সালিসি ব্যাক্তিত্ব মো. আতাউর রহমান আলতাব মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনের সহকারী রিটানিং অফিসার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুজিবুর রহমানের নিকট মনোয়নপত্র দাখিল করেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত জগন্নাথপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রশীদ ভুইয়া, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু সহ আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জমিয়তের প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়ার সময় সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সভাপতি, সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর জমিয়ত নেতা মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার, জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি, মাওলানা মাসরুর আহমদ ক্বাসেমী সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা সৈয়দ রশিদ আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ সৈয়দ সুহাইল আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্র জমিয়তের অর্থ সম্পাদক এম. আতিকুর রহমান কামালী, হাফিজ সাঈদ আহম, সাবেক মেম্বার আঙ্গুর মিয়া কামালী, মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, মতিউর রহমান শাসনানবী, দ্বীনুল হাসান কামালী, তোফায়েল আহমদ কামরান, ইমরান কামালী, ইয়াকুব আহমদ, ফরিদ আহমদ, শফিকুর রহমান কামালী, সৈয়দ রুনেদ আহমদ, হাসান আহমদ, শরিফ হাদি সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। জাতিয় পার্টির মনোনয়ন দেওয়ার সময় জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর খলিলুর রহমান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোঃ দিলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকলিছ আলী, জাপা নেতা আবুল খায়ের সহ জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত কাল স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকমল হোসেনের মৃত্যুর পর চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য হয়ে পড়ে। মোট ভোটার সংখ্যা ২লাখ ১শ ৪৮, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ শ ৩১ জন, মহিলা ভোটার ৯৯ হাজার ৯ শ ১৭ জন। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল যাছাই বাছাই, ৮ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ৯ মে প্রতিক বরাদ্দ এবং ২৫ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট
সুনামগঞ্জে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছে শিক্ষার্থীরা
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিস্কারে নামেন সাদা টি শার্ট পরিহিত একটি টিম। গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল ওয়াহিদ, হেক্সাস গোবিন্দগঞ্জের শিক্ষক রেদ্বওয়ান আহমদসহ অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে ওই টিমে।
মহাসড়কের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারসহ এক দফা দাবিতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী যেভাবে সড়কে নেমে এসেছিল, তেমনি শিক্ষর্থীরা মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে সড়কে নেমে এসেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ঝাড়ু দিয়ে মহাসড়ক পরিষ্কার করে ময়লা-আবর্জনা বস্তায় ভরে নির্দিষ্ট ডাম্পিং এরিয়ায় নিয়ে যান। আর তাদের পানি ও শুকনো খাবার দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশের মতো কাজ করছে। সত্যিই এ দৃশ্য অনেক সুন্দর। আমাদের সবাইকে তাদের সাপোর্ট করা উচিৎ। এছাড়াও তারা গতরাতে মন্দির পাহারা দিয়েছে।
এএম/
সিলেট
হবিগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, ১ জনের মৃত্যু, আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন
হবিগঞ্জে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি শ্রমিক বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল তিনটার দিকে হবিগঞ্জ শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে।
মারুফ হোসেন (যিনি মোস্তাকের সঙ্গে কাজ করেন) বলেন, মোস্তাক এখানে জুতা কিনতে এসেছিল। এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিজিবি) ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেটের টুকের বাজার এলাকায়।
এক পর্যায়ে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মঈন উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মোস্তাকের হাতে বড় ধরনের আঘাত ছিল। সেটা গুলি কি না, পরে জানানো যাবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
এরআগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’–এর অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের বোর্ড মসজিদের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতা-কর্মীরা।
এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।এ সময় তার বাসার সামনে থাকা ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়।
পরে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সহস্রাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোস্তাক মিয়ার মৃত্যু হয়।
পরে বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেয়া হয়। এ সময় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ
সিলেট
বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। আহতরা ঘটনায় সময় সীমান্তে মহিষ চরাচ্ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১টায় কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজন আহত হন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাকির হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তবর্তী এক হাজার ৮৪৬ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে টহলরত বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে আহত হন কামরুল ইসলাম ও চান্দ আলী। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, গুলিবিদ্ধ কামরুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার বাম হাতে চারটি গুলির ক্ষত রয়েছে।
এ বিষয়ে আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হরি জীবন বলেন, সরকারি কাজে অন্যত্র থাকায় সীমান্তে কী ঘটেছে সেটি তার জানা নেই।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন