এশিয়া
ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মা-সন্তানসহ নিহত ১৩
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নগরীতে ব্যাপক হামলা চালায় রাশিয়া। এতে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। যার মধ্যে মা ও তার সন্তান রয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে মধ্যাঞ্চলের শহর উমানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আবাসিক ওই ভবনটিতে আঘাত হানে বলে জানান ওই অঞ্চলের সামরিক প্রশাসন বিভাগের প্রধান ইহর তাবুরেৎস। বলেন, এ ঘটনায় সাতজন নিহত এবং আরো ১৭ আহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোররাতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বার বার কেঁপে উঠেছে কিয়েভ। পুরো ইউক্রেন জুড়েই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কবার্তা হিসেবে সাইরেন বেজেছে এবং বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন চ্যানেল খবর প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার প্রথম প্রহরের পর নিপ্রো, ক্রেমেনচাক, পোলতাভা এবং মাইকোলাইভে বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিয়েভ বা অন্যান্য নগরীতে হতাহতের সংখ্যা বা কী ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কিয়েভ প্রশাসন থেকে বলা হয়ছে, তাদের অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ইউনিট সক্রিয় রয়েছে।
শুক্রবারের এই তুমুল হামলার একদিন আগেই ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছিল, যা কিছু এই যুদ্ধ অবসানের পথ প্রশস্ত করবে তারা সে সব কিছুকেই স্বাগত জানাবে।
গেলো বুধবার ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপ হয়। পরদিন ক্রেমলিন হয়তো এ বিষয়টিকে ইঙ্গিত করেই ওই বিবৃতি দিয়েছিল।
গেলো বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসণ শুরুর পর এই প্রথম শি-জেলেনস্কি ফোনালাপ হয়।
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন