খুলনা
খুলনায় গণপরিবহন বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় দুপুর আড়াইটায় নগরীর শহীদ মহারাজ চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় দুপুর আড়াইটায় নগরীর শহীদ মহারাজ চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এদিকে, বিএনপি’র এই সমাবেশ ঘিরে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কার অজুহাতে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত খুলনার ১৮টি রুটে ২৪ ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে বাস মালিক সমিতি।
কোনো ধর্মঘট ছাড়াই কেন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো তার সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি সমিতির পক্ষ থেকে। এমনকি নৌ-রুটেও সকল পরিবহন চলাচল ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করেছে মালিকপক্ষ। ফলে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সড়ক ও নৌ পথের গণপরিবহন বন্ধের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
তবে, খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, শনিবার বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্যই শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা থেকে কোনো পরিবহন ছেড়ে যাবে না এবং কোনো পরিবহন শহরে প্রবেশ করবে না।
অপরদিকে, জেলার প্রত্যন্ত এলাকার কয়রার মদিনাবাদ ও জোড়শিং এবং সাতক্ষীরার নীলডুমুর এ তিনটি রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িক স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি শনিবার সকাল থেকে পূর্ব-পশ্চিম রূপসা ঘাট এবং জেলখানা ও সেনেরবাজার ঘাটেও ট্রলার পারাপার বন্ধ রেখেছেন ট্রলার মাঝিরা।
যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধে অল্প সময়ের এই ঘোষণা পৌঁছায়নি যাত্রী সাধারণের কাছে। যে কারণে হঠাৎ পরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। কয়েকজন যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারার অনিশ্চিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমনকি সোনাডাঙ্গা ও রূপসা টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীকে।
এ বিষয়ে নগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে জানান, শনিবার খুলনা বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীদের ঢল ঠেকাতে সরকারের নির্দেশেই পরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য এটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে মানুষের ঢল নামার আতঙ্কে পরিবহন বন্ধ করা হতে পারে- এ বিষয়টি মাথায় রেখেই সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ সোহান
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//