আইন-বিচার
ঢাকা বারে সভাপতি আব্দুল বাতেন, সম্পাদক হযরত আলী
ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) ২০২১-২২ সেশনের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেল সভাপতিসহ সম্পাদকীয় ৯টি ও সদস্য ৬টিসহ মোট ১৫ পদে বিজয়ী হয়েছেন।
অপরদিকে বিএনপি ও সমমনাদের সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য সমর্থিত নীল প্যানেল সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ টি সম্পাদকীয় ও সদস্য ৫টিসহ মোট ৮টি পদে বিজয়ী হয়েছেন।
শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সভাপতি পদে সাদা প্যানেলের আব্দুল বাতেন ৪ হাজার ৪৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, আর নীল প্যানেল সমর্থিত মোসলেহ উদ্দিন জসিম পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৩৪ ভোট।
অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের খোন্দকার হযরত আলী ৪ হাজার ২৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, সাদা প্যানেল সমর্থিত ফিরোজুর রহমান মন্টু পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৩ ভোট।
সাদা প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাতেন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক এ কে এম সালাহউদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান (তারেক), কোষাধ্যক্ষ একেএম আরিফুল ইসলাম কাওছার, লাইব্রেরি সম্পাদক শারমিন সুলতানা হ্যাপী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শায়লা পারভীন পিয়া, অফিস সম্পাদক জাকির হোসাইন (লিঙ্কন), ক্রীড়া সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এ এস ইমরুল কায়েশ।
এই প্যানেলের সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- এ বি এম ফয়সাল সারোয়ার, বাহারুল ইসলাম (বাহার), মো. মহিন উদ্দিন (মহিন), জুয়েল চন্দ্র মোদক, সুলতানা রাজিয়া রুমা ও মো. আহসান হাবিব।
নীল প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন ও সহ-সভাপতি পদে মো. আনিসুর রহমান (আনিস) ও সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মো. হযরত আলী। এই প্যানেলের সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- বাবুল আক্তার (বাবু), এম আর কে রাসেল, মো. হোসনী মোবারক (রকি), মো. সোহাগ হাসান রনি ও মোসা. তাসলিমা আক্তার।
এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। মধ্যে একঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা বার ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ১৭ হাজার ৭৫৬ জন ভোটারের মধ্যে ৮ হাজার ৭০৬ জন ভোট দিয়েছেন। এরপর শুক্রবার দুপুরের পর ভোট গণনা শুরু হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলে মোট ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর বাইরেও ক্রীড়া সম্পাদক পদ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। যা নিয়ে মোট প্রার্থী ছিল ৪৮ জন।
সূত্র: বাসস।
এএ
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ