ব্যাংকিং ও বীমা
বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা কে
বিশ্বব্যাংকের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা।
মঙ্গলবার (২ মে) বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকরা অজয় বাঙ্গাকে পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আজ বুধবার বিশ্বব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
২৫ সদস্যের এক্সিকিউটিভ বোর্ড জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট থাকবেন বাঙ্গা।
বাঙ্গাকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পদে নির্বাচিত হলেন বাঙ্গা। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে বসলেন তিনি। এর আগে তিনি বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১০ সালে মাস্টারকার্ডের সিইও হন বাঙ্গা। এর আগে নেসলে, পেপসির মতো সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদ পেলেন। এর আগে ‘জেনারেল আটলান্টিক’ নামে একটি শেয়ার লেনদেনকারী সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন অজয়। ২০১৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল তাকে।
সাধারণত বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ পদাধিকারী নির্বাচন করে আমেরিকা। আইএমএফের ক্ষেত্রে তা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার অর্থসচিব জ্যানেট ইয়েলেন দাবি করেছিলেন, বিশ্বব্যাংকের শীর্ষপদে অজয়ই যোগ্যতম প্রার্থী। বিশ্বব্যাংকের বৃহত্তম অংশীদার আমেরিকা। তাদের ভোটাধিকার ১৬.৩৫ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টও আমেরিকার অর্থ দপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে কাজ করেন।
৬৩ বছর বয়সি অজয়ের জন্ম মহারাষ্ট্রের পুণেতে। বাবা হরভজন সিং বাঙ্গা ছিলেন ভারতীয় সেনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অর্থনীতির স্নাতক। পরে আমদাবাদে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করেন। ‘নেসলে ইন্ডিয়া’-র হাত ধরে কর্মজীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। এর পর কাজ করেন সিটি ব্যাংকেও।
১৯৯৬ সালে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন অজয়। সেখানে ‘পেপসিকো’ সংস্থায় যোগ দেন। ১৩ বছর ওই সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। সিইও-সহ সংস্থার একাধিক পদে দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০৯ সালে মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং অফিসার হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অজয়। পরে ওই সংস্থার সিইও হন। তাঁরই নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাস্টারকার্ডের ব্যাপ্তি ঘটে। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল’, ‘ইউএস-ইন্ডিয়া সিইও ফোরাম’-এর মতো অলাভজনক সংস্থারও সদস্য তিনি।
ব্যাংকিং ও বীমা
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বাংলাদেশে ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গেলো এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংবাদিকরা আগের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এমন কোনো প্রতিবেদন করবেন না, যার ফলে এ খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সংকট দেখা দেয়। তারা অনিয়মের সঙ্গে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। যারা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশে সংস্কার শুরু হয়েছে। পরবর্তী সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে ওইভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের অস্থায়ী পাস ইস্যু বন্ধ রাখা হয়। সেসময় অর্থনীতিবিষয়ক রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন বিষয়টির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলো।
আই/এ
ব্যাংকিং ও বীমা
৩ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে
আগামী তিন দিন (সোম-মঙ্গল-বুধবার) ব্যাংক বন্ধ থাকবে। রোববার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে সারাদেশে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় সব ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এরআগে সরকার নির্বাহী আদেশে সারাদেশে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।এসময় দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে দেশব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো।
জেএইচ
অর্থনীতি
বুধবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম
আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে, আর ব্যাংকগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ব্যাংকের মত দেশের শেয়ারবাজারেও বুধবার থেকে স্বাভাবিক লেনদেন হবে। অর্থাৎ সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। মূল লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। পরের ১০ মিনিট থাকবে পোস্ট ক্লোজিং।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেয়া কমপ্লিট শাটডাউন ঘিরে সহিংসতা শুরু হয়। এর ফলে গত শনিবার (২০জুলাই) রাতে দেশে কারফিউ জারি করে। রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। কারফিউ ও সাধারণ ছুটির জন্য ব্যাংক তিনদিন বন্ধ ছিল। এরপর পাঁচ কার্যদিবসে কারফিউ শিথিলের সময় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলে। ফলে ১২ দিন ও ৮ কার্যদিবস পর স্বাভাবিক ব্যাংকিং চালু হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সবশেষ স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম হয়।
জেডএস/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন