ফুটবল
নাপোলির জয়োৎসব পরিণত হচ্ছে শোকে
৩৩ বছর পর নাপোলি জিতেছে তাদের লিগ শিরোপা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই উল্লাস-উন্মাদনায় ভাসছে পুরো নেপোলস। তবে ইতালিয়ান শহরটিতে এমন আনন্দের দিনে আসছে শোকের সংবাদ।
নাপোলির বিজয় উদযাপনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৬ বছর বয়সী এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। তবে তিনি কিভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সেটি জানা যায়নি। এছাড়া অন্তত ২০৩ জন সমর্থক আহত হয়ে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আছেন আরও ৪ জন।
অন্যান্য যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে আতশবাজি থেকে হাতে আঘাত, স্থানচ্যুত কাঁধ, ভাঙ্গা কব্জি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চোখের সমস্যা, নাক ভাঙা, পড়ে যাওয়া থেকে আঘাত, মাথায় আঘাত এবং ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় উদযাপন করতে গিয়ে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে একটি কার ধাক্কা দেয়। হাসপাতালে ভর্তি সেই তরুণীর মাথায় মারাত্মক ক্ষতের কারণে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে।
Read more 📍https://t.co/q2PrNb0f7Q
— Sky Sports News (@SkySportsNews) May 4, 2023
ইতালিয় লিগটিতে মিলান-তুরিনের মতো এলিট শহরের ক্লাবদের দাপটে কোণঠাসায় থাকা নাপোলিকে সেই আশির দশকে বিশ্বকে চিনিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা নামের এক রূপকথার নায়ক।
অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে। তারপর কেটে গেছে ৩৩ বছর। এরপর কত কিছু হয়ে গেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সৃষ্টি হয়েছে, করোনা পৃথিবীকে থমকে দিয়েছে, ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছে, ফুটবলের রাজা পেলে গতো হয়েছেন, এমনকি ম্যারাডোনাও চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। কেবল নাপোলির আরেকটি শিরোপা জেতা হয়নি।
বৃহস্পতিবার নেপলসবাসীর সেই অপেক্ষা ঘুচেছে। কিন্তু আতশবাজির আলোয় উদ্ভাসিত নেপলসের রাতের আকাশে দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই শোকের খবর ভেসে আসছে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন