অপরাধ
নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন ৩ জঙ্গি
আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তার তিনজন নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানিয়েছে এটিইউ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নোয়াখালী থেকে এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে কুমিল্লা থেকে অন্য দুজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শিবলু ওরফে রফিকুল ইসলাম শিবলু ওরফে যোদ্ধা অব হিন্দ (২০), জাহিদুর রহমান ওরফে জাহিদ (২৮) ও শাহাদত হোসেন (২৫)।
শুক্রবার (৫ মে) ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি উগ্রবাদ মতাদর্শী বই, ৪টি অ্যান্ড্রয়েড ও ১টি বাটন মোবাইল এবং ১০টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এটিইউর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গ্রেপ্তাররা অনলাইনে জঙ্গিবাদ প্রচারণা, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে তথাকথিত খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার, আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নাশকতার জন্য পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন সিকিউরড গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে চ্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছিল।
এছাড়া, উগ্রবাদী বিভিন্ন বই অনলাইনে পোস্ট করে আগ্রহীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, গোপন বৈঠকসহ তাদের উগ্রবাদের দিকে আহ্বান করে আসছিল। সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা নির্ধারণ করার জন্য শিবলুরর নেতৃত্বে প্রতি মাসে গোপন স্থানে বৈঠক করত। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন