ছাত্র-শিক্ষক
জবি জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
নানা আয়োজনে মধ্যে দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূণর্মিলনী উপলক্ষে শুক্রবার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ বছরের পুরনো এই বিভাগের উদ্যোগে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে চলে সাবেকদের পদচারণা। বহুদিন পর ফিরে পাওয়া বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, গান, কবিতা আর আড্ডায় সবাই যেন ফিরে পেয়েছিলেন তারুণ্যের সেই ক্যাম্পাস জীবন। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারী যারা পরলোকগমণ করেছেন তাদের স্মরণে একমিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।এছাড়াও সারাদিনব্যানপী নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনকে রঙিন করে তুলেছে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অ্যালামনাইয়ের সভাপতি ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও বিভাগের শিক্ষক নিউটন হাওলাদার।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল ক্যাম্পাস। মাত্র সাত একর ক্যাম্পাসে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী, সাতশোর অধিক ফ্যাকাল্টি মেম্বার, সাত হাজারের অধিক কর্মচারী। এখানে সকালবেলায় ক্লাসের সময় হাটা যায় না। এতো কিছুর পরেও আমাদের অর্জন অনেক।
এসময় তিনি অ্যালামনাই সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, একটি অ্যালামনাই চাইলে তার বিভাগকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আপনারা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অনেক কিছু করতে পারেন। এই বিভাগে একটি ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ সেন্টার করে দিতে পারেন যাতে শিক্ষার্থীরা রিসার্চ করতে পারে। বছরে একবার পুনর্মিলন, আড্ডা দেওয়াই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয় বরং সব ধরনের উন্নয়নে অবদান রাখাতে হবে যেমন- ল্যাবরেটরি করা, যারা টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারে না তাদের সাহায্য করা, বিভাগের সহায়তা করা।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিইউনিয়ন হচ্ছে একটি সেতুবন্ধন। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যা লামনাইগুলো বিভাগকে অনেক সাহায্যা করে। বর্তমানে পুরো বিশ্বে যে তাপদাহ চলছে এটি নিরাময়ে এই বিভাগের গবেষণা ও ফিল্ড ওয়ার্কে প্রয়োগ করা সম্ভব।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক ডিগ্রির মাধ্যরমে তাদের ডিপার্টমেন্টকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছি, তাদের যোগ্যতাই তাদের এই সুযোগ করে দিচ্ছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-শিক্ষক
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতাদের অভিনন্দন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের সঙ্গে জামায়াতের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ছিল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অভিনন্দন জানাচ্ছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যা ও ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী নিধনের নেতৃত্বদানকারী এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তে স্নাত, দুই থেকে ছয় লাখ নারীর সম্ভ্রম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতাকারী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (তৎকালীন ছাত্র সংঘ)। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশেও তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও রাজপথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হত্যার বহু ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারা বলেন, এসব কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। তবে এটিই যথেষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।
জেএইচ
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন এবং সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে বলে আশা করেন তারা।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টায় বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেরিন আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে আমাদের ছাত্র মো. আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ), কোটাবিরোধী আন্দোলনের এক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমরা তার এবং অন্য শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সংযম প্রদর্শন এবং আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি এবং আশা করছি যে সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে।
এএম/
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক আজ
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি সুরাহার জন্য শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। পরে আজ বসার জন্য সময় দেন তিনি। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।
গেলো তিন দিন ধরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে কার্যত অচল হয়ে আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গতকালও সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভাগ, হল, ইনস্টিটিউট ও প্রশাসনিক ভবনের কোথাও কোনো ধরনের সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে অনেক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মঙ্গলবার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা প্রত্যয় স্কিম করেছেন, তারা হয়তো মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। তিনি তার জায়গা থেকে কথা বলেছেন। আমরা যখন তাকে বোঝাতে পারব, তখন হয়তো তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন। তার বক্তব্যটি আমরা গ্রহণ করিনি।’
টিআর/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন