আইন-বিচার
মা ও ছেলেকে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
সিলেট নগরের মীরাবাজার খারপাড়া এলাকায় মা ও ছেলেকে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তানিয়া আক্তার ও তার স্বামী ইউসুফ খান মামুন। মামুন খানের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশায়।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর ২য় আদালতের বিচারক মো. নূরে আলম ভুঁইয়া এ রায় দেন। আদালতের পিপি মোহাম্মদ জুবায়ের বখত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ রাতে সিলেট নগরের মীরাবাজার খারপাড়া ‘মিতালী ১৫/জে’ বাসার নীচতলার একটি ফ্ল্যাটে রোকেয়া বেগম (৪৫) ও তার ছেলে রবিউল ইসলামকে (১৬) জবাই করে হত্যা করা হয়। পরের দিন ৩১ মার্চ বাসা থেকে মা-ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশ থেকে আহত অবস্থায় পাঁচ বছরের শিশু রাইসাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। হত্যাকারীরা রাইসাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে গিয়েছিল। নিহত রোকেয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর কলকলি গ্রামের হেলাল মিয়ার স্ত্রী। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহতের ভাই জাকির হোসেন অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে একই বছরের ১০ এপ্রিল কুমিল্লা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে আটক হন নিহত রোকেয়া বেগমের গৃহপরিচারিকা তানিয়া আক্তার ও তার স্বামী ইউসুফ খান মামুন। তারা উভয়ে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নিহত রোকেয়া বেগমের মেয়ে রাইসার জবানবন্দিও রেকর্ড করেন আদালত। তৎকালীন সময়ে আদালতে রাইসার দেয়া জবানবন্দির সঙ্গে আসামিদের জবানবন্দি হুবহু মিলে যায়।
আদালতের পিপি মোহাম্মদ জুবায়ের বখত বলেন, চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই। ২০১৯ সালের ১৯ মে তদন্ত শেষে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক দেওয়ান আবুল হোসেন। ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি অত্র আদালত চার্জ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন। দীর্ঘ শোনানিতে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এই রায় দেন।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন