খুলনা
কুষ্টিয়ায় নির্বাচনী শো-ডাউনের বাইক চাপায় বৃদ্ধ নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ৩নং তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর নির্বাচনী মটরসাইকেল শো-ডাউনে পড়ে শহর আলী সেখ (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের মুত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত শহর আলী স্থানীয় বাসিন্দা মৃত. ফকির সেখের ছেলে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কস্থ উপজেলার রানাখড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাস্তা পার হওয়ার সময় একসঙ্গে কয়েক’শ মটরসাইকেল শো-ডাউনের মধ্যে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হওয়া
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে তালবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হান্নান মন্ডলের সমর্থনে কয়েক’শ মোটরসাইকেলসহ বিশাল নির্বাচনী শো-ডাউন বের হয়। এসময় রাস্তা পার হতে গিয়ে মোটরসাইকেলের শো-ডাউন অতিক্রম করতে গেলে শহর আলীকে ধাক্কা দেয়। এতে শহর আলী মাটিতে পড়ে গেলে বেপরোয়া গতিতে থাকা আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল তার উপর দিয়ে চলে যায়। মোটরসাইকেল বহর চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা কাছে গিয়ে শহর আলীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে হাইয়ে পুলিশের টিআই জুলহাস উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, উপজেলার তালবাড়ীয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় শহর আলী শেখ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শো-ডাউনের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সেখান থেকে পরিত্যাক্ত একটি রেজি: বিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করলেও তার চালককে পাওয়া যায়নি।
শনিবার দুপুরে মুঠোফোনের আলাপকালে মিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস জানান, এঘটনায় এখনও কেউ থানায় কোনও অভিযোগ বা মামলা নিয়ে আসেনি।
তালবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থনে বের হওয়া মোটরসাইকেল শো-ডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হান্নান মন্ডল বলেন, ওটা আসলে আমার শো-ডাউনের মধ্যে এসে বাইরের কোন মোটরসাইকেল মেরে দিয়ে চলে গেছে। এটাকে বিরোধীপক্ষ আমার শো-ডাউনের উপর দায় চাপাচ্ছে। এই মৃত্যুর সাথে আমার শো-ডাউনের কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, যেহেতু ইউপি নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও কোন সিদ্ধান্ত জানাননি। সেকারণে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার আশায় যারা শো-ডাউন করতে গিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করছেন তা নির্বাচনী আচরণবিধি অনুমোদন করে না। প্রার্থী হওয়ার আশা যে কেউ করতেই পারেন। সেটা করতে গিয়ে যেন আইনশৃংখলা ভঙ্গের কারণ না ঘটে।
এস
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//