ছাত্র-শিক্ষক
জবিতে পরিবেশ,জলবায়ু এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তরুণদের সম্মেলন
প্রেনিউর ল্যাব ইউথ এ্যান্ড ইনোভেশন, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় “কো-ক্রিয়েট ২০৭১” নামে দেশের পরিবেশ,জলবায়ু এবং বর্তমান চিকিৎসা ব্যাবস্থা নিয়ে একটি কর্মসূচীর আয়োজন করেছে।
যথাক্রমে রবিবার ও সোমবার (১৪ মে এবং ১৫ মে) কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে। দুইদিন ব্যপী এই কর্মশালাটির প্রথম দিনের বিষয়বস্তু ছিল “পরিবেশগত উদ্যোগ” এবং দ্বিতীয় দিনের বিষয়বস্তু ছিল “সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা”। এই কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এই প্রোগ্রামটির অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল বর্তমানের তরুণসমাজ, যারা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারক, তাদেরকে ধারণার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করা এবং নতুন নতুন পলিসি নির্ধারণে নিযুক্ত করা। মূল বিষয়বস্তু নিয়ে একটি সেশন এবং একটি প্যানেল আলোচনা দিয়ে মূলত এত কর্মশালাটিকে সাজানো হয়। এই সেশন এবং প্যানেল আলোচনার মূল আলোচক ছিলেন ইউএস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এ্যালামনাই এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এডুকেশন আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর হিসাবে কর্মরত সোহেল ইকবাল এবং মার্কিন দূতাবাসের পাব্লিক ডিপ্লোমেসি সেকশনে কর্মরত, মি. লিয়াম এম. গার্ডিনারের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রথমদিনের অনুষ্ঠানটির সূচনা ঘটে। প্রথমদিনের মূল সেশনটি পরিচালনা করেন আইক্যান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আইরিন খান। এছাড়াও প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন হাউজিং এ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার নাফিজুর রহমান, কারিগর এর ম্যানেজিং পার্টনার তানিয়ান ওয়াহাব এবং প্যানেলটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, ভয়েস অফ বাংলাদেশের প্রজেক্ট রিসার্চার এ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার মোঃ জাহিদ হোসেন খান।
দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ কামালউদ্দীন আহমেদ। মূল সেশনটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন হিউম্যান এইড বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শেখ মইনুল খোকন। এছাড়াও প্যানেল আলোচনায় ছিলেন , ড. পূরবী’স হেল্প দেস্ক এর প্রতিষ্ঠাতা ড. নওশীন পূরবী, ভয়েস অফ বাংলাদেশের প্রজেক্ট রিসার্চার এ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার মোঃ জাহিদ হোসেন খান এবং আয়াত কেয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা রাহাত হোসেন। প্যানেল আলোচনাটির পরিচালনার দায়ত্বে ছিলেন সিকদার ঋতুপর্ণা, মার্কেটিং এ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার, প্রেনিউর ল্যাব।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জনাব মোঃ জাহিদ হোসেন খান বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক রোগকে যেমন প্রাধান্য দেওয়া হয়, মানসিক রোগকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
বিষয়বস্তু ভিত্তিক এবং প্যানেল সেশন ছাড়াও এই কর্মশালাটিতে ছিল দলগত কাজ সহ বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচী, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে চলমান বিবিধ সমস্যাবলির সম্পর্কে অবগত হন এবং এইসমস্ত সমস্যার সমাধানকল্পে নতুন নতুন পলিসির সুপারিশ করেন। অংশগ্রহণকারী সমস্ত শিক্ষার্থীর জন্য ছিল সার্টিফিকেট এবং বিশেষ উপহারের সুব্যবস্থা ।
ছাত্র-শিক্ষক
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতাদের অভিনন্দন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের সঙ্গে জামায়াতের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ছিল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অভিনন্দন জানাচ্ছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যা ও ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী নিধনের নেতৃত্বদানকারী এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তে স্নাত, দুই থেকে ছয় লাখ নারীর সম্ভ্রম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতাকারী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (তৎকালীন ছাত্র সংঘ)। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশেও তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও রাজপথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হত্যার বহু ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারা বলেন, এসব কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। তবে এটিই যথেষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।
জেএইচ
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন এবং সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে বলে আশা করেন তারা।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টায় বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেরিন আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে আমাদের ছাত্র মো. আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ), কোটাবিরোধী আন্দোলনের এক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমরা তার এবং অন্য শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সংযম প্রদর্শন এবং আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি এবং আশা করছি যে সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে।
এএম/
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক আজ
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি সুরাহার জন্য শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। পরে আজ বসার জন্য সময় দেন তিনি। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।
গেলো তিন দিন ধরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে কার্যত অচল হয়ে আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গতকালও সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভাগ, হল, ইনস্টিটিউট ও প্রশাসনিক ভবনের কোথাও কোনো ধরনের সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে অনেক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মঙ্গলবার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা প্রত্যয় স্কিম করেছেন, তারা হয়তো মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। তিনি তার জায়গা থেকে কথা বলেছেন। আমরা যখন তাকে বোঝাতে পারব, তখন হয়তো তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন। তার বক্তব্যটি আমরা গ্রহণ করিনি।’
টিআর/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন