ছাত্র-শিক্ষক
ইবির রোটার্যাক্ট ক্লাবের সভাপতি নাহিদ, সম্পাদক রাসেল
রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’র ২০২৩-২৪ রোটারী বর্ষের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রোটা. মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতি ও আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের রোটা. দিদারুল ইসলাম রাসেল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ মে) বিশ^বিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবনের ৪২০ নম্বর কক্ষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাত সাড়ে সাতটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার রোটা. আরিফুজ্জামান নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। এরআগে বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৩৪ ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেন। এতে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন রোটা. মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রোটা. আবু বকর সিদ্দিক। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নেন রোটা. দিদারুল ইসলাম রাসেল ও রোটা. জিয়াউর রহমান আরিয়ান। নির্বাচনে উভয়ের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা সমান হলে নির্বাচন কমিশন ও উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্তে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন রোটা. আরিফুজ্জামান। সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন রোটা. শামিমুল ইসলাম সুমন ও রোটা. সাদিয়া সুলতানা। নির্বাচনের শুরুতে অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সাহিদা আক্তার আশা। এছাড়াও নিবার্চন ও ফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন ও ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক ইয়ামীন মাসুম।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটাররা স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে এবং যাবতীয় কার্যক্রমে পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট সংখ্যা সমান হওয়া নির্বাচন কমিশনের অধিকাংশের সিদ্ধান্ত ও বিভিন্ন নজির অনুসরণ করে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে।’ তিনি নির্বাচিত নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানান ও সাফল্য কামনা করেন।
নির্বাচিত সভাপতি রোটা. মুনজুুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ক্লাবের সদস্যরা আমার উপর আস্থা রেখে যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন আমি সর্বোচ্চটা দিয়ে সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো। সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে সংগঠনের পথচলার ধারাবাহিকতা রক্ষা গতিশীলতা আনয়নে চেষ্টা করবো। এজন্য ক্লাবের সদস্য ও সাবেকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালে ‘রোটারি ইন্টারন্যাশনাল’ এর যুব সংগঠন হিসেবে ‘রোটার্যাক্ট ক্লাব’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ‘সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব’ স্লোগানকে ধারণ করে বর্তমানে বিশ্বের ১৯০টি দেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯২ সালে সংগঠনটির পথচলা শুরু হয়। নেতৃত্ব গঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন, রক্তদান, পথশিশু ও ছিন্নমূলদের সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে প্রাচীন এই সংগঠনটি। ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে এবং পহেলা জুলাই থেকে নতুন কমিটি দায়িত্বপালন শুরু করবে।
ছাত্র-শিক্ষক
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতাদের অভিনন্দন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের সঙ্গে জামায়াতের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ছিল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অভিনন্দন জানাচ্ছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রির গণহত্যা ও ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী নিধনের নেতৃত্বদানকারী এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তে স্নাত, দুই থেকে ছয় লাখ নারীর সম্ভ্রম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতাকারী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (তৎকালীন ছাত্র সংঘ)। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশেও তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও রাজপথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হত্যার বহু ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারা বলেন, এসব কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। তবে এটিই যথেষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।
জেএইচ
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন এবং সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে বলে আশা করেন তারা।
রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টায় বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেরিন আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন যে আমাদের ছাত্র মো. আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ), কোটাবিরোধী আন্দোলনের এক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমরা তার এবং অন্য শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সংযম প্রদর্শন এবং আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি এবং আশা করছি যে সংলাপের মাধ্যমে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান আসবে।
এএম/
ছাত্র-শিক্ষক
শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক আজ
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি সুরাহার জন্য শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। পরে আজ বসার জন্য সময় দেন তিনি। তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।
গেলো তিন দিন ধরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে কার্যত অচল হয়ে আছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গতকালও সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বিভাগ, হল, ইনস্টিটিউট ও প্রশাসনিক ভবনের কোথাও কোনো ধরনের সেবা পাচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে অনেক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মঙ্গলবার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা প্রত্যয় স্কিম করেছেন, তারা হয়তো মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। তিনি তার জায়গা থেকে কথা বলেছেন। আমরা যখন তাকে বোঝাতে পারব, তখন হয়তো তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন। তার বক্তব্যটি আমরা গ্রহণ করিনি।’
টিআর/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন