অপরাধ
পানির ট্যাঙ্কে চেতনানাশক, একই পরিবারের ৪ জন অচেতন
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চুরি করার উদ্দেশ্যে আলাদা দুইটি বাড়িতে পানির ট্যাংঙ্কে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে একই পরিবারের ৪ জনকে অচেতন করেছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। গুরুতর আহত অবস্থায় নারীসহ ৪ জনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গেলো শুক্রবার (১৯ মে) শেষ বিকালে উপজেলার বিদ্যাবাগিশ ধারিয়ার পাট এলাকায় এঘটনাটি ঘটে। আহতরা উল্টোপাল্টা বলায় স্বাভাবিক হয়নি এখনো।
আহতরা হলেন ওই এলাকার গনেশ চন্দ্রের ছেলে র্নিমল চন্দ্র (৪৪)তার স্ত্রী পিতিলতা রানী (৩৭) র্নিমল চন্দ্রের ছেলে স্বপন চন্দ্র রায় (৫১) ও তার আত্বীয় চিনুবালা (৫৫)। তারা সকালে খাবার খেয়ে বিকালে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদেরকে স্বাভাবিক করার অনেক চেষ্টা করেছেন । কিন্তু ঘুমে বিভোড় হয়ে পড়েন তারা। শেষ বিকালে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদেরকে।
ওই এলাকার আনিচুর রহমান ও স্বজন প্রদীপ চন্দ্র রায় জানান সংঘবদ্ধ একটি চক্র আগে ওই বাড়ি দুইটিতে কৌশলে পানির ট্যাংঙ্কিতে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে দিয়ে ছিল। আহতরা পানি পান করে অচেতন হয়ে পড়েছে। তবে চোর চক্র ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল চুরি করতে পারেনি।
সম্প্রতি সময় ফুলবাড়ি আর্দশ স্কুলের পাশে, নাওডাঙ্গা ব্রীজের পার, ফুলবাড়ি ডিগ্রী কলেজ পাড়ায় একই ভাবে পরিবারের সদস্যদেরকে পানিতে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করেস্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে চোরের দল।
আহত স্বপন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী স্বপ্না রানী রায় জানান সকাল বেলা ১০টা পার হলেও দেখি ঘুম থেকে আমার স্বামী উঠছে না। অনেক ডাকাডাকি করছি তা ও ঘুম থেকে উঠে না। মাঝে মধ্যে উল্টোপাল্টা বলছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
আহত র্নিমলের ভাগ্নে যুয়ন্ত কুমার রায় জানান, পনির ট্যাঙ্কির ভিতরে চেতনানাশক ওষুধের আংশিক বস্তা পাওয়া গেছে। এ বিষয় পুলিশকে অবগত করা হয়েছে ।
ফুলবাড়ি হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডা. নশরাতজাহান জানান আহতদের চিকিৎসা চলছে। তারা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
ফুলবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনাগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন