ফুটবল
‘ফিফার সাহায্যে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করেছে ’
ফিফার সহায়তায় আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতেছে। বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তারা যে পেনাল্টিগুলো পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে চারটি ছিল একেবারেই অযৌক্তিক। মেসির জনপ্রিয়তার জন্য ফিফা মেসিকে বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করেছে। এমনটি মন্তব্য করেছেন সাবেক উরুগুইয়ান তারকা ডিয়াগো লুজানো।
৩ যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কাতার বিশ্বকাপ জয় করেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় নিয়ে এখনো সমালোচনা থামছে না।
বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েই ফিফা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে চায় কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছিল। বিশ্বকাপ জয়ের পরও তা থেমে ছিল না। ফিফা মেসিদের বিশ্বকাপটা এবার উপহার দিয়েছে, এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন বিভিন্ন ফুটবলার কিংবা ফুটবল বিশ্লেষক। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ৪২ বছর বয়সী সাবেক এই উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার।
উরুগুয়ের রেডিও কার্ভেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুজানো জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও একটি পেনাল্টি পেয়েছিল। যেখানে দেখা যায়, ডি মারিয়া পরিষ্কারভাবেই ডাইভ দিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে তার কোনো স্পর্শও লাগেনি। কিন্তু তারপরও রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।
“কোনো সন্দেহ নেই যে ফিফা মেসিকে বিশ্বকাপ জয় করতে সাহযোগিতা করেছে। অবশ্যই বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আর্জেন্টিনার যোগ্যতা ছিল। কিন্তু ৫টি পেনাল্টি, যার মধ্যে চারটি ছিল অযৌক্তিক। এটাই ছিল বাস্তবতা।”
লিজানো আরও মনে করেন এটি মেসির কৃতিত্বের প্রাপ্য, যাকে সারা বিশ্ব চেনে। মেসির বিশ্বে অনেক জনপ্রিয়তা, আর তাতেই প্রভাবিত হয়েছে ফিফা।
“আপনি দেখে থাকবেন যে, মাইক টাইসনের গায়ে, টাইগার উডসের গায়ে, রজার ফেদেরারের গায়ে মেসির জার্সি। আপনি কি মনে করেন যে ফিফা এগুলো দেখে না এবং তাদের জন্য কাজ করে না? তবে হ্যাঁ, এটা অবশ্যই মেসি এবং আর্জেন্টিনার কৃতিত্ব যারা এর থেকে সুবিধা নিতে পারে।”
কাতার বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা ৫টি পেনাল্টি পায়। যার মধ্যে তিনটিই কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে। কাতার বিশ্বকাপে এত পেনাল্টি পায়নি আর কোনো দল। শুধু কাতার বিশ্বকাপ নয়, বিশ্বকাপের ইতিহাসেই আর্জেন্টিনার এইবারের সমান পেনাল্টি পায়নি কোনো দেশ।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন