এশিয়া
মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি; নিহত দুই, আহত অনেকে
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত দুইজন। আহত হয়েছে কয়েকজন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় দায়েই শহরে আজ রোববার জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয় এবং আহত হয় কয়েকজন।
রাজনীতিক কিয়াও মিন তিকসহ স্থানীয় গণমাধ্যম দায়েই ওয়াচ এসব তথ্য জানিয়েছে। গণমাধ্যমটি বলছে, পুলিশের গুলিতে এক ডজনের বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।
এদিকে, ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভের সময় আহত হয় একজন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ব্যক্তিকে বিক্ষোভস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদের কারও কারও প্রচণ্ড রক্তক্ষরণও হচ্ছে।
তারা কীভাবে আহত হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিক্ষোকারীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে পুলিশ। মিয়ানমার নাউ মিডিয়া গ্রুপ বলেছে, মানুষের ওপর গুলি চালানো হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্বৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর স্নায়ু অবশকারী গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার এবং ফাঁকা গুলি চালিয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে পুলিশ এবং সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্রকে ফোন দেওয়া হলে কেউ ফোন ধরেনি।
তবে সামরিক জান্তাপ্রধান জেনারেল সিন অং হ্লাইং বলছেন, বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় ন্যূনতম শক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে সত্যি হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত তিনজন। বিক্ষোভে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার দাবি করেছে সেনাবাহিনী।
গেল এক ফেব্রুয়ারি দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী অং সান সু চি ও অন্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে তারা।
এসএন
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/