জাতীয়
মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় থাকবেন ২৩১ এমআরটি পুলিশ
স্বপ্নের মেট্রোরেল চালু হলেও নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়ে কর্তৃপক্ষ। প্রায় মাসখানেক আগে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া ঢিলে মেট্রোরেলের একটি জানালার কাচ ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ আরও ঘনীভূত হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের এখনো আইনের আওতায় আনতে পারেনি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকারের হাইকমান্ড। যে কোনো উপায়ে দুর্বৃত্তদের ধরতে বলা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এরই মধ্যে মেট্রো পুলিশ ইউনিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন চূড়ান্ত করেছে সরকার।
গেলো বছরের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ৫ মাস পর মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় অনুমতি পায় ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ’।
পুলিশের এ ইউনিটটি গঠনে একজন উপমহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে ২৩১ জনের জনবল চূড়ান্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-৩ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপসচিব নূর-এ-মাহবুবা জয়া।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমআরটি মেট্রোরেল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি ক্যাডার পদ ও ২২৮টি নন-ক্যাডার পদসহ মোট ২৩১টি পদ সৃজন এবং ১৫টি যানবাহন টিওএন্ডইভুক্তকরণ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কাজের জন্য পদ: একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার, দুজন পরিদর্শক, একজন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), একজন ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (সশস্ত্র), তিনজন এএসআই (নিরস্ত্র), চারজন এএসআই (সশস্ত্র), পাঁচজন নায়েক, ১০ জন কনস্টেবল, একজন কম্পিউটার অপারেটর, একজন হিসাব রক্ষক, একজন উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক দুজন।
এমআরটি লাইন-৬ এর জন্য পদ: একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ছয়জন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), ৩৪ জন এএসআই (নিরস্ত্র) ও ১৫৩ জন কনস্টেবল।
যানবাহনের বিবরণ: একটি জিপ, ৪টি পিক-আপ ও ১০টি মোটরসাইকেল।
জানা যায়, সার্বিক দিক বিবেচনায় মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মেট্রোরেলের জন্যও আলাদা ইউনিট গঠনের প্রস্তাব ছিল শুরু থেকেই। রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি অন্যতম প্রাচীন বিশেষায়িত ইউনিট। এটি ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে পুলিশ তার অধিক্ষেত্রে জেলা পুলিশের মতোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, তদন্ত ও অন্যান্য পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এমআরটি পুলিশও অনুরূপভাবে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা, যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও অপরাধ দমনে কাজ করবে।
উদ্বোধনের আগে ও উদ্বোধন পরবর্তীসময়ে এমআরটি পুলিশ গঠনের আগ পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স ও থানা পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে আসছিল।
গেলো বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন। প্রথম দিনই চালু হয় উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন দুটি। উদ্বোধনের দিন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পথে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
এরপর একে একে আরও দুটি স্টেশন চালু হয়। এরমধ্যে গেলো ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন ও গেলো ১৮ ফেব্রুয়ারি চালু হয় উত্তরা স্টেশন। এরপরে পঞ্চম স্টেশন হিসেবে চালু হয় মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন। গেলো ৩১ মার্চ আগারগাঁও থেকে উত্তরা স্টেশনের সবগুলো খুলে দেয়া হয়।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন