ভর্তি -পরীক্ষা
সোমবার শুরু রাবির ভর্তিযুদ্ধ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী সোমবার থেকে অনুষ্ঠিত হবে। এ, বি ও সি এই তিন ইউনিটে আয়োজিত এই ভর্তি পরীক্ষা চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (২৭ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষার নিয়মাবলী, কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা, প্রক্সি জালিয়াতি রোধে নিরাপত্তাসহ শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের আবাসন ব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নানা উদ্যোগের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য।
থাকছে কোটসহ ৪ হাজার ৪৬৭ টি আসন
এবারে কোটাসহ ৪ হাজার ৪৬৭ টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় বসবে মোট ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫৯১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পুরুষ আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৩৮ টি এবং নারী আবেদনকারীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ৭৫৩ টি। এবার একক আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮১৬ টি। পরীক্ষার জন্য ‘এ’ ইউনিটে ৭২ হাজার ৬৫ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৩০ হাজার ৬৭৫ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭৫ হাজার ৮৫১ টি চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন করেছে। যার মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ২৭ টি বিভাগসহ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ‘বি’ ইউনিটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ৬ টি বিভাগ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট এবং ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ২৬টি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত আছে।
পরীক্ষার ১ ঘণ্টা আগে খুলে দেওয়া হবে ভবনের গেট
এবারে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা ভবনের গেট ও ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষের প্রবেশগেট খুলে দেয়া হবে। ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ১০০ নম্বরের এই ভর্তি পরীক্ষা এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এতে চারটি ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর কাটা হবে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কক্ষের বাইরে যেতে পারবে না এবং পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ও ক্যালকুলেটরসহ মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না।
জালিয়াতি রোধে থাকবে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে অসাধুচক্রের সদস্যদের তাৎক্ষণিক শাস্তি বিধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ও শান্তি – শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাবি উপাচার্য বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। এখানে কোনো ধরনের জালিয়াতি বা কারসাজির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন- শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সজাগ আছে। এ বিষয়ে ভর্তি-পরীক্ষা কমিটি ও উপ-কমিটিসমূহ, ইউনিটভিত্তিক কমিটিসমূহ, পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত আইন-শৃংঙ্খলা বিষয়ক কমিটিসমূহ, র্যাব ও সকল গোয়েন্দা সংস্থা, প্রক্টর দপ্তর, ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর, জনসংযোগ দপ্তর, আইসিটি সেন্টার, পরিবহণ দপ্তর এবং হল প্রশাসন নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে ।
ভর্তির সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে অনলাইনে
ভর্তি সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ, বিষয় ও হল নির্বাচন, মাইগ্রেশনসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে। এতে করে দ্রæত, স্বচ্ছ ও নির্ভুল ফল প্রকাশ করা এবং সর্বোপরি জাল-জালিয়াতি ও কারসাজি রোধ করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিশেষজ্ঞগণ সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন প্রক্টর কর্তৃক ক্যাম্পাসে ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু থাকবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করে আহবানপত্র প্রচার করা হয়েছে। প্রক্টর অফিস মেস-মালিক সংগঠনের সাথে আলোচনা করেছে। তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। ইতোমধ্যে রাসিক মেয়রের নেতৃত্বে রাজশাহীর সুধীজন, সাংস্কৃতিক কর্মী, শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, মেস মালিক, পরিবহণ মালিক সমিতি এবং অটোরিক্সা মালিক-শ্রমিক সমিতির সাথেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মতবিনিময় করেছে।
চিকিৎসা সহায়তায় থাকবে ছয় অ্যাম্বুলেন্স।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ভর্তি-পরীক্ষা চলাকালে রাবি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালিত একটি মেডিকেল টিম কাজ করবে এবং সার্বক্ষণিকভাবে ৪ টি অ্যাম্বুলেন্সও থাকবে। এছাড়াও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিচালিত ২ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এবং ২ টি অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়াও বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জারগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ১১টি হেল্পডেস্কের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রদান করবে। এসব হেল্পডেস্কে পানির ব্যবস্থাও থাকবে।
থাকবে ১১ টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্ট
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ১১ টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্টসহ শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি টেন্টে অভিভাবকদের বসার জন্য ২০০ টি করে চেয়ার থাকবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণভাবে ব্যবহারের জন্য ১২টি স্থানে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকবে।
ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে কাজ করবে ১৩০ স্বেচ্ছাসেবী
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিছন্নতাকর্মী এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল ধরনের প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো প্রকার বুথ স্থাপন করা যাবে না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ডাস্টবিনে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্রের কয়েক কপি আনার নির্দেশ
শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্রের কয়েকটি করে কপি সঙ্গে আনতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি নিজ দায়িত্বে রাখতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ক্লাব, সমিতি ও সংগঠনগুলো পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানানো হয়েছে।
থাকবে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের থাকার ব্যবস্থা
এদিকের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন আবাসিক হলে সীমিত আকারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নারী অভিভাবকদের অবস্থানের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম ৯০ নম্বর বাসায় সীমিত ব্যবস্থা করা হয়েছে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
ক্যাম্পাসে যান চলাচলে মানতে হবে কয়েক নির্দেশনা
সংবাদ সম্মেলনে যান চলাচল নিয়ে উপাচার্য বলেন, ২৯ থেকে ৩১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো শহরের নির্ধারিত স্থান থেকে সকাল সোয়া ৭টায় ক্যাম্পাস অভিমুখে ছেড়ে আসবে এবং ২৯ ও ৩০ মে ক্যাম্পাস থেকে বিলে সোয়া ৫টায় এবং ৩১ মে বেলা পৌনে ৩টায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাবে। সকাল ৮ টার পর ক্যাম্পাসে কোনো প্রকার ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন কাজলা ও বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করে মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। কৃষি ও চারুকলা অনুষদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মন্নুজান হল- বেগম খালেদা জিয়া হল-স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন- তুঁত বাগান সংলগ্ন রাস্তাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে, শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা সকল রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে।
এছাড়াও, সকাল ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনমুখী সংযোগ সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং অটোরিক্সাসহ কোনো প্রকার যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। তবে পরীক্ষা সংক্রান্ত ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত গাড়িসমূহ এই নির্দেশের আওতামুক্ত থাকবে। ২৯ থেকে ৩১ মে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ তাদের ব্যক্তিগত গাড়িসমূহ সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে সাবাস বাংলাদেশ মাঠে পার্কি করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া আবাসিক এলাকায় বসবাসরতদের ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কাজলা গেট ব্যবহার করবেন এবং বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্যারিস রোড হয়ে মেইন গেট এবং রোকেয়া হলের পেছনের রাস্তা (ফ্লাইওভার সংলগ্ন) ব্যবহার করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ তিন ইউনিটের সমন্বয়ক, অন্যান্য অনুষদ অধিকর্তাবৃন্দ, ছাত্র-উপদেষ্টা, প্রক্টর, পরিবহণ প্রশাসক, হল প্রাধ্যক্ষ, ভর্তি উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ভর্তি -পরীক্ষা
রাতে প্রকাশিত হচ্ছে একাদশে ভর্তির শেষ ধাপের ফল
চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তৃতীয় বা শেষ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে আজ রাতে। আবেদনকারীদের নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে ফল জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ওয়েবসাইটে গিয়েও ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে এ ফল প্রকাশ করা হবে বলে ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এ এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানায়, আজ রাত ৮টায় একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে তৃতীয় ধাপে আবেদন করা শিক্ষার্থীরা কে কোন কলেজ পেলেন, তা জানানো হবে। একইসঙ্গে এদিন দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশনের তালিকাও প্রকাশ করা হবে।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, তিন ধাপে নির্বাচিত এবং সফলভাবে নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। এরপর ৩০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় বা শেষ ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় গেলো ৯ জুলাই, যা শেষ হয় ১০ জুলাই রাত ৮টায়।
আই/এ
ভর্তি -পরীক্ষা
আজ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ রোববার (৩০ জুন) শুরু হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন।এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩ টি।নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি। আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫ টি।এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭ টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮ টি। গতবছরের তুলনায় ২০২৪ সালে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭ টি।
এদিকে, পরীক্ষা সূচারুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিষ্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর),মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম,বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম,নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
অন্যদিকে, বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
বিশেষ ব্যবস্থায় উল্লেখ করা হয়েছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম,সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক,অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিনে জানা যায়, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আজ হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা একইদিন শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই হতে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে।
বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি,রিয়াদে ৪৩টি,ত্রিপলীতে ২টি,দোহায় ৬৩টি,আবুধাবীতে ৪৪টি,দুবাইয়ে ২২টি,বাহরাইনে ৩৪টি,সাহাম ওমানে ২৬টি।
এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) ২০২৪ সালের পূনর্বিনাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এইচএসসি পরীক্ষা একমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এতে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে তা সঠিক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার ইস্যুকৃত নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জেএইচ
ভর্তি -পরীক্ষা
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে কাল
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন।
এবার মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩ টি। এবার ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।
আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫ টি।
এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল) /ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭ টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮ টি।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১,৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭ টি।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই হতে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে।
বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপলীতে ২টি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবীতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি, সাহাম ওমানে ২৬টি।
পরীক্ষা সূচারুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় (নিয়মিত,অনিয়মিত,মানোন্নয়ন) ২০২৪ সালের পূনর্বিনাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
এরমধ্যে রয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিষ্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
এছাড়া বিশেষ সক্ষম ( ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে- দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম,সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষা পরীক্ষা একমাস পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বলে একটি ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়লে এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ১ জুন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে তা সঠিক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার ইস্যুকৃত নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন