বাংলাদেশ
মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য কলঙ্কজনক : মির্জা ফখরুল
মার্কিন সরকার আমাদের র্যাব বাহিনী ও এ সংস্থার কয়েজন সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমাদের কোন প্রতিষ্ঠানের ওপর, কোনও কর্মকর্তাদের ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কলঙ্কজনক। আমাদের দেশের জন্য আওয়ামী লীগ এই লজ্জা সৃষ্টি করা হয়েছে। দুর্ভাগ্য আমাদের এই আওয়ামী লীগ এই অবস্থাটা তৈরি করেছে। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠান যেগুলোকে নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত। আর সেই প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগ ধবংস করে দিয়েছে শুধুমাত্র তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন পত্রিকায় আছে- প্রায় ৬শ’ লোককে গুম করা হয়েছে, হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে। পঙ্গু হয়ে আছে হাজার হাজার মানুষকে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দূঃখ হয় আমাদের, আমাদের সেনা বাহিনীর সাবেক প্রধানকে আমেরিকাতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আর ঢুকতে পারবে না, তার পরিবারের সদস্যরা ঢুকতে পারবে না। অর্থাৎ এমন একটা অসভ্য দেশে পরিণত হয়েছি, এমন একটা অগণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটা দানবে পরিণত হয়েছে। সত্যিকার অর্থে তারা কিন্তু দেশ চালায় না। দেশ চালায় আমলা এবং তারা গণতন্ত্রের বাইরে দেশ পরিচালনা করছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সত্যিকার অর্থে গুরুতরভাবে অসুস্থ। ডাক্তাররা বলেছেন যে, তার বাইরে যাওয়া খুব প্রয়োজন এবং ইতিমধ্যে যাওয়া প্রয়োজন। তারা বলছেন চিকিৎসাটা প্রয়োজন। সরকার সেটা করতে দিচ্ছে না, করতে দিতে চাচ্ছে না।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্যে, বিদেশে তাকে পাঠানোর জন্যে শুধু কথায় হবে না। আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি এই আন্দোলনের গতি-প্রকৃতিকে আরো কঠোর করতে হবে। আন্দোলন আরো দুর্বার করতে হবে। গণআন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাকে মুক্ত করবো। আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে পাঠাতে পারবো এবং তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে পারবো।
মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো আন্দোলনকে সফল করতে চান তাহলে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে সংগঠনকে শক্তিশালী করা। আপনার যদি সংগঠন শক্তিশালী থাকে আপনি সব আন্দোলনকে সফল করতে পারবেন। সংগঠন যদি শক্তিশালী না থাকে আপনি কোনো আন্দোলন সফল হবে না।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ