আইন-বিচার
স্ত্রীর নামে ৮৩ লাখ টাকার সম্পদ গড়েছেন বিদ্যুতের কর্মচারি
স্ত্রীর নামে প্রায় ৮৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসের কর্মচারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়ার শ্যামপুর ডিপিডিসির ওই কর্মচারী ও তার স্ত্রী ইয়ানুর বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রোববার (২৮ মে) সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু কাকরাইল ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের গ্রিড নর্থ-১ এর সুইচ বোর্ড অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত থাকার সময়ে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, এমন একটি অভিযোগ দুদকে জমা পড়ে। কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। অনুসন্ধানে তাদের (মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু ও তার স্ত্রী) সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ২০২১ সালের আগস্টে পৃথক নোটিশ জারি করা হয়। ওই নোটিশ পেয়ে তারা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ইয়ানুর বেগম ৮৩ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ টাকা অর্জনের তথ্য দেন। তিনি এসব অর্থ তার বাবা, মা, ভাই, বোন ও দুলাভাইদের কাছ থেকে দান হিসেবে পেয়েছেন বলে জানান। দুদকের অনুসন্ধানে তার ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৯৩০ টাকা অর্জনের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। তিনি স্বামীর ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় এসব সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি ইয়ানুর বেগমের স্বামী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করার সময় সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ স্ত্রী ইয়ানুর বেগমের নামে নামে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করেন। অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রাখা এবং সম্পদের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন