আইন-বিচার
তরুণীর লাশ ফ্রিজিং গাড়িতে রেখে পাহারায় পরিবার
বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী। একমাত্র মেয়ের হঠাৎ মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। যে মেয়ে রোববার রাতে স্বামীর সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল, ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলল কীভাবে সেই প্রশ্ন এখন পরিবারের সবার।
তাই তো তরুণীকে রেখে দেওয়া হয়েছে ফ্রিজিং গাড়িতে। বাবা মালয়েশিয়া থেকে ফিরলে মেয়ের মৃত্যুর কারণ খুঁজে তারপর দাফন করা হবে। এমনটি জানিয়েছেন নিহত সানজিদার মা সাহিদা বেগম।
আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে সানজিদার বাবা সাইদ শেখ মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বাবা বাড়িতে না ফেরা পর্যন্ত লাশ থাকবে ওই ফ্রিজিং গাড়িতেই।
স্থানীয়রা জানান, সানজিদার লাশ সোমবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে পুলিশ তার স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে ৬টার দিকে ঢাকা থেকে ফ্রিজিং গাড়ি আনা হয়। পরে সানজিদার বাড়ির প্রায় ৫০০ গজ দূরে কাইচাইল চৌকিদার পাড়া জামে মসজিদের সামনে রাস্তায় গাড়িতে সানজিদার লাশ রেখে পাহারা দিচ্ছে পরিবার।
এর আগে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কাইচাইল গ্রামে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সানজিদা (২০)। সে ওই গ্রামের আবু সাঈদ শেখের মেয়ে। সোমবার বিকেলে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দিয়েছে।
মাত্র সাত মাস আগে একই গ্রামের শাহজাহান বেপারীর ছেলে সাহারিয়ার রাতুলের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় সানজিদার। রোববার রাতে স্বামী রাতুলের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন সানজিদা। সোমবার সকালে সানজিদাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্বামী ও শাশুড়ি। তারা লাশ নামিয়ে খাটের ওপর রেখে এলাকাবাসীকে খবর দেয়। এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের মা সাহিদা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ওই ছেলেকে পছন্দ করায় আমি পরিবারের সবাইকে বুঝিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়েকে কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে বিয়ে দেই। আমার মেয়ে কীভাবে মারা গেছে আমি কিছু বলতে পারি না। তাই ওর বাবা বলছে, ওর লাশ রেখে দিতে। আমরা ঢাকা থেকে গাড়ি এনে ওর লাশ রেখে দিয়েছি। ওর বাবা মালয়েশিয়া থেকে আসার পর যা করার করবে।
টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এসআই/
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ