খেলাধুলা
নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে যা জানালেন ধোনি
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবার আসরের চ্যাম্পিয়ান হয়েছে চেন্নাই সুপার কিং। পুরস্কার হাতে তুলে নেন দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। এরপর কথা বলেন দর্শকদের উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার (৩০ ম৩) রাত সাড়ে ৩টায় আইপিএল ট্রফি হাতে তুলে নেয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে অবধারিতভাবে ধোনির দিকে সেই অমোঘ প্রশ্নটা ছুটে আসে। এবার প্রশ্নের ধরনটা কিছুটা আলাদা ছিল। কিন্তু আবেগটা সেই একইরকম। আর যে ধোনি নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সেরা সময়ও নিজেকে অনুভূতি, আবেগ থেকে দূরে রেখেছিলেন, সেই ধোনি যেন নিজের পেশাদারি কেরিয়ারের শেষলগ্নে আবেগে সিক্ত হয়ে গেলেন। বুঝিয়ে দিলেন, এবারই আইপিএল কেরিয়ারে ইতি টানবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) ভক্তদের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন। তাই আরও একটি মৌসুম খেলতে চান তিনি।
পঞ্চমবার আইপিএল ট্রফি জয়ের সঞ্চালক হর্ষ ভোগলের প্রশ্নের জবাবে ধোনি বলেন, ‘যদি সবকিছু বিবেচনা করে দেখেন, তাহলে এটাই অবসর ঘোষণার সেরা সময়। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অবসর নেয়ার কাজটা সোজা। কিন্তু কঠিন কাজটা হলো, আরও ৯ মাস কঠোর পরিশ্রম করা এবং আরও একটি আইপিএলে খেলার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। শরীরকে সেই চাপ সইতে হবে। কিন্তু সিএসকে ভক্তদের থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আরও একটি আইপিএল খেলে তাদের একটি উপহার দিতে চাই। তারা যেভাবে নিজের ভালোবাসা, আবেগ প্রকাশ করেছেন, সেটা বিবেচনা করে এই কাজটা আমার করা উচিত। এটা আমার কেরিয়ারের শেষ ভাগ।’
মুখে শুধু সিএসকে ভক্তদের কথা বললেও আদতে গোটা বিশ্বের কোটি-কোটি ধোনি ভক্তের সেই ‘রিটার্ন গিফট’ দিলেন মাহি। যারা এবার নিজেদের দলকে ছেড়ে ধোনিকে সমর্থন করেছেন। হলুদ জার্সি পরে মাঠে গিয়েছেন। সেটা কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সমর্থক হোক বা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সমর্থক হোক- ধোনির প্রতি যে ভালোবাসা, সেটার সামনে ফ্র্যাঞ্চাইজি-ফ্র্যাঞ্চাইজি লড়াই গৌণ হয়ে গিয়েছে। মাঠে দুটি দল, ২২ জন খেলোয়াড় থাকলেও চরিত্র একজনই থেকেছেন, তিনি হলেন ধোনি।
আর ২০২৩ সালের আইপিএলের একেবারে শেষলগ্নে এসে ধোনি সেই ফ্যানদেরও যেন জিতিয়ে দিলেন। আইপিএল ট্রফিটা চেন্নাইয়ে গেলেও জিতে গেলেন বিশ্বের কোটি-কোটি ধোনি ফ্যান। কারণ তারা তো ধোনিকে আবারও মাঠে দেখতে পাবেন। যার ক্রিকেটীয় ম্যাজিকে মুগ্ধ হবেন, যার ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) সামনে আম্পায়াররাও নতজানু হবেন, যে মানুষটার জন্য ইডেন গার্ডেন্স হোক বা ওয়াংখেড়ে হোক বা একানা স্টেডিয়াম হোক বা চিন্নস্বামী স্টেডিয়াম হোক বা নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম হোক- সবাই বলে উঠবে ‘ধোনি, ধোনি….ধোনি, ধোনি।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন