আন্তর্জাতিক
কসোভোকে শাস্তি দিলো যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ কসোভোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের কথা না শোনায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠ সার্ব উত্তরাঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ উপেক্ষা করেছিল কসোভো। বুধবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কসোভের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত সার্বিয়ানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সেখানে উত্তেজনা-অস্থিরতা এড়াতে দেয়া মার্কিন পরামর্শ না শোনায় কসোভোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে উত্তর কসোভোতে জাতিগত আলবেনিয়ান মেয়রদের ‘জোর করে’ ক্ষমতায় বসানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছে দেশটি।
বিবিসি বলছে, ইউরোপে আমেরিকার নেতৃত্বে চলমান সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করা থেকে কসোভোকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে সোমবার উত্তর কসোভোর জেভেকানে সার্ব বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ন্যাটো সেনাদের সংঘর্ষ হয়।
সার্ব জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় জাতিগত আলবেনিয়ান মেয়রকে দায়িত্বে বসানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতার মধ্যে বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবনে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জেভেকানে সংঘর্ষে ৩০ জন ন্যাটো শান্তিরক্ষী এবং ৫২ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়। অবশ্য পরে কসোভোতে অতিরিক্ত আরও ৭০০ সৈন্য মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটো।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সার্ব অধ্যুষিত অঞ্চলে আলবেনিয়ান গোষ্ঠীর মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় সংঘর্ষ শুরু হয়। রাস্তায় নেমে সার্বরা বিক্ষোভ শুরু করলে তা মোকাবিলা করতে সোমবার পথে নামে ন্যাটোর শান্তি বাহিনী বা কেফোর। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পাল্টা হামলা করেন সার্ব বিক্ষোভকারীরাও। আর এতেই বেশ কিছু ন্যাটো অফিসার আহত হন।
মূলত গেলো এপ্রিলে এই সংকট শুরু হয়। সেসময় সার্বরা মেয়র নির্বাচন বয়কট করেছিল। তা সত্ত্বেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সার্ব অধ্যুষিত অঞ্চলেও আলবেনিয়ান প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হয়। অবশ্য সার্বিয়ানরা নির্বাচন বয়কট করায় সেসময় সবমিলিয়ে মাত্র ৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
উত্তরাঞ্চলে যেসব সার্বিয়ান বাস করেন সেখানে গেলো ২৫ মে তিনজন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ফলে যেসব মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাদের বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন তারা। এরই প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন সার্বরা। এমনকি সরকারি ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টাও করেন তারা।
কেফোর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একাধিক দেশ থেকে আসা তাদের ফোর্সের কমপক্ষে ২৫ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। ইতালি এবং হাঙ্গেরির সেনাদের বেছে বেছে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নও উত্তর কসোভোর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য কসোভান কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করেছে এবং সেখানে জাতিগত উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে পারে এমন যেকোনও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।
বিবিসি বলছে, সার্বিয়ান এবং প্রধানত আলবেনিয়ান বাসিন্দাদের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে টানাপোড়েনের সম্পর্কের পর ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে কসোভো। এরপর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান দেশগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে তারা।
কিন্তু শক্তিশালী মিত্র রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট সার্বিয়া কসোভোকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে বরাবরই। একইসঙ্গে কসোভোর উত্তর দিকে বসবাস করা জাতিগত সার্বিয়ানরা কসোভোর কেন্দ্রীয় সরকারের আইনসহ কোনও কিছু মানতে চান না।
যদিও জাতিগত আলবেনিয়ানরা কসোভোর মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি। এরপরও সার্বরা উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হিসেবে রয়ে গেছে।
কসোভোর রাজধানী প্রিস্টিনায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফ্রি হোভেনিয়ার বলেছেন, সার্ব সংখ্যাগরিষ্ঠ চারটি পৌরসভায় জোরপূর্বক জাতিগত-আলবেনিয়ান মেয়র বসানোর সিদ্ধান্তের ‘পরিণাম কী হতে পারে তা আগে থেকেই বুঝেছিল’ যুক্তরাষ্ট্র।
কসোভোর শক্তিশালী মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তিকে তার পদক্ষেপ পরিবর্তন করার জন্য ‘দৃঢ়ভাবে পরামর্শ’ দিয়েছে। কিন্তু যুত্তরাষ্ট্রের সেসব পরামর্শ উপেক্ষা করা হয়েছে।
ফলস্বরূপ মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর ‘ডিফেন্ডার ইউরোপ ২৩’ মহড়ায় কসোভোর অংশগ্রহণ বাতিল করা হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফ্রি হোভেনিয়ার বলেছেন, কসোভোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে এবং বর্তমানে কসোভোকে ব্যাপক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইয়ে দিতে বা ইইউ এবং ন্যাটোর সদস্য করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করার ‘কোনও উৎসাহ নেই’ ওয়াশিংটনের।
অবশ্য সার্বিয়া এবং কসোভোর নেতারা সহিংসতার জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছেন। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক বলেছেন, কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি এই বিশৃঙ্খলার জন্য একাই দায়ী।
অন্যদিকে কুর্তি দাবি করেছেন, জেভেকানের বিক্ষোভকারীরা সার্বির রাজধানী বেলগ্রেডের নির্দেশে একগুচ্ছ চরমপন্থি হিসেবে কাজ করছে।
তবে ন্যাটো জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তিনি কসোভোতে ন্যাটোর শান্তিরক্ষা বাহিনীকে উল্লেখ করে ‘কেফোর সৈন্যদের বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় হামলার’ তীব্র নিন্দা করেছেন।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন? তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।
এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?
জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এমআর//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন