দক্ষিণ আমেরিকা
আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নতুন দল গঠনের কোন পরিকল্পনা নেই তাঁর।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা, এপি, এএফপি, রয়টার্স জানায়, রোববার ফ্লোরিডার ওরল্যান্ডোয় রক্ষণশীলদের একটি রাজনৈতিক সম্মেলন-কনসারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশনের অনুষ্ঠান ছিল। এতে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম জনসম্মুখে বক্তব্য রাখেন তিনি। বক্তব্যের প্রথমেই, আবারো নির্বাচনে লড়ার কথা স্পষ্ট করেন তিনি। তবে নতুন দল তৈরি করার কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই বলে জানান।
ট্রাম্প বলেন, নতুন দলের প্রয়োজন নেই। কারণ, তাঁর দল আছে। রিপাবলিকান পার্টির হয়েই লড়াইয়ে নামবেন তিনি। এরপরই পুরনো বক্তব্যে চলে যান ট্রাম্প। এ সময় দাবি করেন, তৃতীয়বার ডেমোক্র্যাটদের হারানোর জন্য তিনি প্রস্তুত। একইসঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে ভেঙে ফেলার ইঙ্গিতও দেন ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়া এই রিপাবলিকান।
ট্রাম্পের তৃতীয়বার শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ। বহু সমালোচনার পরও এদিন ট্রাম্প পরোক্ষে আবারো দাবি করেছেন, গেল নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাতে কারচুপি হয়েছে। ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে হারানো হয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, নির্বাচনে জিতেছেন। সে কারণেই ২০২৪ সালে তৃতীয়বার ডেমোক্র্যাটদের হারাবেন তিনি।
অভিশংসন মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর জনসম্মুখে এসেই বর্তমান প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। অথচ বাইডেন প্রশাসনে বয়স মাত্র দেড় মাস। সদ্য তৈরি হওয়া সরকারকে ব্যর্থ বলে ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর আমলে কত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে।
এদিন ডেমোক্র্যাটদের পাশপাশি রিপাবলিকানদের একাংশেরও সমালোচনা করেন তিনি। সঙ্গে থাকা একটি তালিকায় তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলা রিপাবলিকানদের নাম ছিল। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে যে রিপাবলিকানরা সমর্থন দিয়েছিল, তাদের নামও ছিল। তালিকা পড়ে এসব নেতাকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
মাসখানেক বিশেষ খবরে ছিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের শপথের কয়েক আগে হেলিকপ্টারে করে হোয়াইট হাউজ ছেড়েছিলেন তিনি। এরপর টেলিভিশনের সামনে যাননি তিনি। রোববার আবারো স্বমূর্তিতে ধরা দিলেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, ২০২৪ সালে আবারো প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়বেন তিনি।
এসএন
দক্ষিণ আমেরিকা
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।
দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।
নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।
জেএইচ