Connect with us

অন্যান্য

কলম্বিয়ায় অপহরণের ৩২ বছর পর সন্তানকে পেলো এক পরিবার

Published

on

কলম্বিয়ায় অপহরণের ৩২ বছর পর ছেলেকে ফিরে পেয়েছে একটি পরিবার। মাত্র তিন বছর বয়সে বাড়ির আঙিনা থেকে জোনাতন জিমনেজ নামে শিশুকে অপহরণ করে এক আত্মীয়। তাকে চকলেট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। অপহরণের পর তাকে নরওয়েতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন দশক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ডিএনএ পরীক্ষার পর তার সন্ধান পাওয়া যায়।

জোনাতনের বড় ভাই জুয়ান বলেন, ১৯৮৭ সালে তার বয়স ছিলো পাঁচ বছর। ছোট ভাই জোনাতনের ছিলো তিন। বাড়ির আঙিনায় খেলার সময় তাকে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে পরিবারের এক বন্ধু নিয়ে যায়। এরপর তিন দশকেও তার সন্ধান মেলেনি। যদিও পরিবারের দাবি, ঘটনার ছয় বছর পর অপহরণকারী শিশুটিকে যুক্তরাষ্ট্রে দত্তক দেওয়ার কথা জানিয়েছিল।

দীর্ঘদিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই আত্মীয়ের সন্ধান পায় পরিবারটি। ছোট ভাইকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে সেখানেও বিপত্তি। সাক্ষাতের আগেই ওই অপহরণকারী মারা যায়। পরে ২০১৯ সালে ডিএনএ কোম্পানির মাধ্যমে পরীক্ষার পর নরওয়েতে জোনাতনের সন্ধান মেলে। ২০২০ সালে দুই ভাইয়ের দেখা হয় ।

জোনাতনের বড় ভাই আরও জানান, আমি ভাবতাম আমার ভাইকে কখনই হয়তো আর ফিরে পাবো না। সব সময় তাকে অনুভব করেছি। ভাবতাম সৃষ্টিকর্তা যদি কখনও দেখা করিয়ে দিত। দীর্ঘ এই সময়ে প্রতিনিয়ত মাকে সান্ত্বনা দিতে হয়েছে। ভাইকে পেয়ে আমরা কত আনন্দিত হয়েছি তা বলে বোঝাতে পারবো না।

জুয়ান এবং জোনাতনের মা জানান, অনেক বছর পর শান্তি অনুভব করছি। সন্তানকে কাছে পেয়ে বিশ্বের সবকিছু ইতিবাচক মনে হচ্ছে। বাকিটা জীবন আমার ছেলেকে বুকে আগলে রাখতে চাই।

Advertisement

অপহৃত হওয়া জোনাতন জানায়, অনেক বছর ধরে পরিবারে ফিরতে চেয়েছি। আমার ভাই যখন আমার কাছে এসে সব গল্প বলে তখন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছিলো। হারিয়ে যাওয়া ৩২টি বছর এখনও ফিরে পেতে চাই। এতো দিনের না পাওয়া ভালোবাসাগুলো পেতে চাই। জানি তা পাবো না। তবে আগামী ৩২ বছর পরিবারকে নিয়ে জীবনের সেরা মুহূর্ত তৈরি করতে চাই।

 

এসএন

Advertisement

অন্যান্য

জামায়াত নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট

Published

on

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রমাণ করেছে এই দেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নাই। আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হলে সবার আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ এই দেশে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ১৪ দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগ কোন নিয়মে জামায়াতকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা আমাদের কাছে বিস্ময়ের। তাদের সিদ্ধান্তের আলোকে বিনাভোটের অগণতান্ত্রিক সরকার আরো একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কালো অধ্যায় রচিত করলো। জাতির সামনে প্রশ্ন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার জন্য আওয়ামী লীগের থেকে অনুমতি নিতে হবে?

Advertisement

তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনা কারণে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে। তারা আগামীতে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকেও একই পন্থায় নিষিদ্ধ করতে পারে। আওয়ামী লীগ তাদের গোলামদের সঙ্গে নিয়ে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। আমরা সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

রাজকীয় অভ্যর্থনা বলে কথা! প্রেমিকাকে হাঁটালেন টাকার কার্পেটে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

নিজের প্রিয়জন বলে কথা। প্রিয় মানুষের মন জোগাতে কত কিছুই না করে থাকেন প্রেমিক পুরুষরা। আর বিত্তশালী প্রেমিক হলেতো কথাই নেই। নিজের মনের মানুষকে স্বর্গীয় সুখের ভেলায় ভাসাতে  বিলাসিতা আর শখের বসে বিচিত্র কাণ্ড করে বসেন।

এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন রাশিয়ার এক ধনকুবের উদ্যোক্তা কাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে তাকে  হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে টাকার কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন ওই ধনকুবের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বেশ পুরোনো।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক এই রুশ ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তার এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা রুশ ইনফ্লুয়েন্সারদের এমন ভিডিওর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে ‘জঘন্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাসরত রুশ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’’ নামেও পরিচিত। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে টাকার বান্ডিল দিয়ে সাজানো কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ ওই ইনফ্লুয়েন্সারের প্রেমিকা হেলিকপ্টার থেকে নামেন।  এরপর তার হাত ধরে তিনি নগদ টাকার স্তূপের তৈরি কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। ভিডিওর ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুরোনো এ ভিডিওটি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা টাকার কার্পেট ব্যবহারে বিরক্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘সম্পদের কুৎসিত প্রদর্শন করেছেন ওই জুটি।’

নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, ‘ভিডিওতে ব্যবহার করা নোটগুলো জাল ছিল। তবে আসলে এগুলো জাল কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি।’

নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘টাকার মূল্য বুঝতে চেষ্টা করুন। তুমি ধনকুবের হতে পারো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তুমি এভঅবে অর্থ খরচ বা অপচয় করবে। এর পরিবের্তে তুমি শতশত পরিবারের ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করতে পারো। অথবা হাজারো ক্ষধার্তর মুখে খাবার তুলে দিতে পারো।’

শেয়ার করা ভিডিওতে ওই রুশ তরুণ ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তার চার কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী

Published

on

সংগৃহীত ছবি

গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে  বাজারে যাওয়ার সময়  ফরিদা নামে এক নারীকে জীবন্ত গিলে খেয়েছে  একটি অজগর সাপ। পরে ওই অজগর সাপটিকে ধরে তার পেট  কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাংয়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার(৬ জুন) বাজারের উদ্দেশে বের হন ফরিদা নামে এক নারী ।  তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানান ফরিদার স্বামী ননি। এরপরই চার সন্তানের মা ফরিদার খোঁজে পরিবারের অন্যসদস্যসহ প্রতিবেশিরা বেরিয়ে পড়েন।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার ফরিদার স্বামী ননি বনের মধ্যে একটি গাছের নিচে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ দেখতে পান। এটির পেট অতিরিক্ত ফোলা থাকায় ননির মনে সন্দেহ হয় সাপটি ফরিদাকে জীবন্ত গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে প্রেতিবেশিরা সাপের পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করে আনেন।

ননি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ ওকে আমি একা বাইরে যেতে দিয়েছি-এটাই আমার আজীবনের দুঃখ। আমি ওর সাথে থাকলে সাপটা  হামলা করার সাহস পেত না।

গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি ডেইলি মেইলকে বলেন, ওই দিন ফরিদা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে বাড়ি না ফেরায় গ্রামের সবাই তার খোঁজ করতে থাকেন। ফরিদার স্বামী জঙ্গলে খোঁজ করার সময় একটি অজগর সাপ দেখতে পান। ওই সাপটির পেট অস্বাভাবিক ফোলা থাকায় তার মনে সন্দেহ হয়-সাপটি তার স্ত্রীকে হয়তো জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে। তার সন্দেহের কথা জানালে সবাই মিলে ওই সাপটিকে ধরা হয় এবং চাপাতি দিয়ে সাপটির পেট কেটে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদার  মরদেহ বাড়ি নিয়ে কবর দেওয়া হয়।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it