খুলনা
গড়াই নদীতে নিখোঁজ ঢাবি ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র তানভীরের (২৩) মরদেহ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থানের ১ হাজার ফুট ভাটিতে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
তানভীরের বাড়ি বরগুনা জেলায়। তিনি ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাস-উদ-রুমী সেতু সংলগ্ন রেল ব্রিজের নিচে পাঁচ বন্ধু নদীতে গোসল করতে নামলে তিনজন তলিয়ে যান। বাকিরা তীরে ভিড়লেও নিখোঁজ হন তানভীর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম।
তিনি জানান, নিখোঁজ তানভীরকে উদ্ধারে গত তিন দিন ধরে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও কর্মীরা। নদীর ওই অংশ থেকে বালু উত্তোলন করায় নিচে ছোট-বড় অনেক গর্ত রয়েছে। এসব গর্তের কারণে স্রোতের সঙ্গে বালু ঘূর্ণি আকারে প্রবাহিত হয়। কোনো গর্তে আটকে মৃত্যু হতে পারে তানভীরের।
মরদেহ উদ্ধারের পর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান জানে আলম।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল জানান, সোমবার রাতেই নিখোঁজ তানভীরের বাবা বরগুনা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মালেক, ছাত্রের বড় বোন, ছোট ভাই ও মামা বরগুনা থেকে কুষ্টিয়ায় আসেন। তারা নদীর পাড়েই অবস্থান করছিলেন।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থী মাইক্রোবাসে করে মেহেরপুরের মুজিবনগরের উদ্দেশে যান। সেখান থেকে দুপুরে আসেন কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ফকির লালন সাঁইয়ের মাজার ঘুরে রওনা হন শিলাইদহ কুঠিবাড়ির উদ্দেশে।
যাত্রাপথে কুমারখালীর উপজেলার মাস-উদ-রুমী সেতু সংলগ্ন গড়াই নদীতে গোসল করতে নামেন শিক্ষার্থীরা। পাঁচ বন্ধু নদীতে নামলে প্রবল স্রোতে তিনজন তলিয়ে যান। বাকিরা তীরে ভিড়লেও নিখোঁজ হন তানভীর।
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন