আওয়ামী লীগ
নির্বাচন কারও নিষেধাজ্ঞায় থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
বাইরের দেশের হস্তক্ষেপে আমরা নির্বাচন চাই না। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে। বাংলাদেশের নির্বাচন কারো নিষেধাজ্ঞায় থেমে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১০ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাস শুরু করছে। যে হাতে হামলা করবে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাতে আগুন লাগাতে আসবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যারা এ দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, যারা পরপর কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দিয়েছে, সেই অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি। অপশক্তির হাতে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় থাকতে ভোট চুরি করছে। ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ গিলে খাবে। গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। আর নয় খালেদা জিয়ার দুঃশাসন, এটাই আমাদের শপথ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এরা বলে আমরা নিজেদের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি আজ বলতে চাই, আপনাদের তো নিজের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই। গাজীপুরে ২৯ জন দাঁড়িয়ে ১৯ জন ইলেক্টেড হয়েছে। ফখরুলের কথায় তাদের প্রার্থীরা সরে দাঁড়াননি। ফখরুল সাহেব যতই লাফালাফি করেন, যতই চোখ রাঙান, আপনার দলের নেতাকর্মীরা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জনসভায় জানিয়ে রাখলাম বিএনপিও আসবে আরও অনেকেই আসবে।
তিনি বলেন, দলের অভাব নেই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এ দেশে হবে। নদীর স্রোত ও সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না, যতই ষড়যন্ত্র করুন ইনশাল্লাহ এ দেশে নির্বাচন হবে। নৌকা আবার বিজয়ী হবে এ বাংলার মাটিতে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, টাকা পয়সা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এত টাকা পায় কোথায়? আজকে আমেরিকায় লবিস্ট, ইউরোপীয় ইউনিয়নের লবিস্ট, এসব লবিংয়ের কোনো হিসাব নেই। আমাদের যে প্রস্তুতি সেখানে কোনো ত্রুটি নেই। আমরা নিয়মকানুন মেনেই নির্বাচনে যাচ্ছি। আমরা কারো পরামর্শে চলব না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন-সহ আরও অনেকে।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন