জাতীয়
এক হবে বিমানবন্দরের টার্মিনাল, রেল, এমআরটি ও বিআরটি স্টেশন
এক কিলোমিটার আন্ডারপাসে এক হবে বিমানবন্দরের টার্মিনাল, এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন, এমআরটি স্টেশন ও বিআরটি স্টেশন। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।
একনেক কার্যপত্রে দেখা গেছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবিত ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় তোলা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের পর চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
একনেক কার্যপত্রে প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ হাজার ৭০ মিটার পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে হাজী ক্যাম্প, আশকোনা, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, এমআরটি স্টেশন, বিআরটি স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল-১, ২ ও ৩ এর যাত্রী এবং সাধারণ পথচারীদের জন্য নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক পারাপার স্থাপন করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের কার্যক্রম হচ্ছে– ১ হাজার ৭০ মিটার টানেলের অবকাঠামো নির্মাণ; ১৫ হাজার ১৯৬ বর্গমিটার মাটি দৃঢ়করণের কাজ (শিট পাইল); ২ লাখ ৮৩ হাজার ঘনমিটার মাটির কাজ (খনন ও মাটি ভরাট); ২৫টি চলমান পথ (ট্রাভেলেটর); ২৮টি এক্সেলেটর; ১২ হাজার ৪০০ বর্গমিটার ইলেকট্রিফিকেশন; ৩২০ বর্গমিটার ইউটিলিটি হাব নির্মাণ; ১২ হাজার ৪০০ বর্গমিটার এইচভিএসি সিস্টেম (প্রাকৃতিক আলো বাতাসের নির্গমনের সুবিধাসহ) এবং ৯৭৯ মিটার ডাইভার্সন রাস্তা নির্মাণ করা।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) জানায়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া, এসডিজি ৯-এ আঞ্চলিক ও আন্তঃসীমান্ত অবকাঠামোর নির্মাণসহ মানসম্মত, নির্ভরযোগ্য টেকসই ও অভিঘাত সহনশীল অবকাঠামো বিনির্মাণের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে (এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৯.১)। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় বর্ণিত আন্ডারপাসটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, প্রকল্পের আওতায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ হাজার ৭০ মিটার পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণের মাধ্যমে হাজী ক্যাম্প, আশকোনা, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, এমআরটি স্টেশন, বিআরটি স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল-১, ২ ও ৩ এর যাত্রী এবং সাধারণ পথচারীদের জন্য নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক পারাপার প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে (১১৮৩.৮২৯৪ কোটি টাকা) হওয়ায় জুন ২০২২ এ জারিকৃত ‘সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন নির্দেশিকা’ এর অনুচ্ছেদ-৩.২.৩ অনুযায়ী প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক অনুমোদনযোগ্য। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে বিমানবন্দর এলাকায় বিমান, রেল ও বাসযাত্রী এবং সাধারণ জনগণের চলাচল গুরুত্বপূর্ণ হবে। এজন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হয়েছে।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন