আওয়ামী লীগ
প্রাচীন ছাত্রলীগের ৭৫ এ পদার্পণ
বাংলা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের এক আপসহীন নাম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে নিজ হাতে এই দল গঠন করেন। আজ সেই ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
পাকিস্তান আমলে ছাত্র অধিকার আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলনসহ জাতির সংকটকালে রাজপথে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলো ছাত্রলীগ। পাকিস্তানি জান্তা সরকারের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল সংগঠনটি। স্বাধীনতা যুদ্ধে ও দাবি আদায়ের সংগ্রামে ঝরে গেছেন দলটির বহু নেতাকর্মী।
স্বাধীন বাংলাদেশেও সামরিক শাসনবিরোধী লড়াইয়েও ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ ছিলো সোচ্চার। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এই ছাত্রলীগ। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডসহ বর্তমান গতিহীন, নিস্তেজ সাংগঠনিক অবস্থার কারণে দলের ভেতরে রয়েছে ক্ষোভ, অভিমান।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে হওয়া কমিটি প্রায় চার বছর পার করে ফেলছে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্য নেতাদের ভাগ্য তেমন পরিবর্তন আসেনি। আর তাই হতাশা, ক্ষোভ আর অভিমানে কাটছে তাদের দিন। ছাত্র রাজনীতিতে বয়সের সীমা নির্দিষ্ট হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেও নিজেকে প্রমাণ করেত পারেননি অনেকে। হল ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে অনেকে এখন পর্যন্ত সাংগঠনিক কোনো পরিচয় পাননি। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি থেকে অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলা যায়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রধান ইউনিট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, অনুষদ কমিটিসহ অন্যান্য কোনো কমিটি করতে পারেননি বর্তমান নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বর্তমান কমিটির প্রধানদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠিত হয়েছিল। পদ পেয়ে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ দেওয়া, বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডসহ সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে ২০১৯ সালে শোভন-রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ নেতৃত্বের ক্ষমতা দেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব পেয়েও সাংগঠনিক দায়িত্ব ভাগ করে না দেওয়া, নিয়মিত সাধারণ সভা না করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটিসহ ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ শাখাগুলোতে সম্মেলন করে নতুন কমিটি ঘোষণা না করায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে।
৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী নানা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো প্রস্তুতি সভা বা সাধারণ সভা করেনি সংগঠনটি।
তাসনিয়া রহমান
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/