আন্তর্জাতিক
বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান কত
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের সহযোগী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে।
বুধবার (২১ জুন) ইআইইউয়ের প্রকাশিত বিশ্বের বসবাসযোগ্য ১৭৩টি শহরের তালিকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ১৬৬তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
বাসযোগ্যতার দিক থেকে খারাপ অবস্থানে থাকা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা ৭ম স্থানে আছে। গেলো বছর ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের এই সূচকে একই অবস্থানে ছিল ঢাকা। গেলো বছরের তুলনায় এই শহরে মানুষের জীবন-যাপনের মানের কোনও উন্নতি ঘটেনি।
এর আগে, ২০১৯ সালে এই সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৩৮তম এবং তার আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ১৩৯তম স্থানে। ২০২১ সালের সূচকে ১৪০টি শহরের মধ্যে ১৩৭তম ছিল বাংলাদেশের রাজধানী। আর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির সময় বিভিন্ন দেশে লকডাউন জারি থাকায় জরিপের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় ইআইইউ। যে কারণে ২০২০ সালে এই সূচক প্রকাশ করতে পারেনি ব্রিটিশ সাময়িকী।
প্রত্যেক বছর বাসযোগ্যতার বিচারে বিশ্বের বড় শহরগুলোর তালিকা প্রকাশ করে ইআইইউ। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো— এই পাঁচ সূচকের ওপর ভিত্তি করে বাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে যে শহর যত বেশি পায়, তালিকায় সেটির অবস্থান থাকে তত ওপরে। চলতি বছর ১৭৩টি শহরের সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইআইইউয়ের এই তালিকায় এ বছর ১৬৬তম স্থানে থাকা ঢাকার পয়েন্ট ৪৩ দশমিক ৮। বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় একেবারে নিচ থেকে যৌথভাবে ঢাকার সঙ্গে সপ্তম স্থানে রয়েছে জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে। গেলো বছরও একই অবস্থানে ছিল ঢাকা। তবে ওই সময় ঢাকার পয়েন্ট ছিল ৩৯ দশমিক ২।
আর ২০২২ সালের মতো চলতি বছরও ইআইইউয়ের বিশ্বের শীর্ষ বসবাসযোগ্য শহর নির্ধারিত রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। প্রথম স্থানে থাকা ভিয়েনার পয়েন্ট ৯৮ দশমিক ৪। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন (পয়েন্ট ৯৮) ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন (পয়েন্ট ৯৭.৭)।
এছাড়া শীর্ষ দশ শহরের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি (চতুর্থ), কানাডার ভ্যানকুভার (পঞ্চম), সুইজারল্যান্ডের জুরিখ (ষষ্ঠ), কানাডার ক্যালগ্যারি (৭ম) ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভা যৌথভাবে ৭ম স্থানে রয়েছে। এরপরই আছে কানাডার টরন্টো, জাপানের ওসাকা ও নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড।
বিশ্বের বসবাসযোগ্য ১৭৩টি শহরের এই তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। এরপর লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলি ১৭২তম, আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্স ১৭১তম, নাইজেরিয়ার লাগোস ১৭০তম, পাকিস্তানের করাচি ১৬৯তম, পাপুয়া নিউ গিনির পোর্ট মোর্সবি ১৬৮তম, বাংলাদেশের ঢাকা ও জিম্বাবুয়ের হারারে যৌথভাবে ১৬৬তম, ইউক্রেনের কিয়েভ ১৬৫তম ও ক্যামেরুনের দৌয়ালা ১৬৪তম স্থানে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন? তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।
এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?
জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এমআর//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন