আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেনবাগ-সোনাইমুড়ির উন্নয়ন শুরু করে : মোরশেদ আলম
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে জনগণের জন্য কোনো কাজ করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন শুরু করে।
বুধবার (২১ জুন) বিকালে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
মোরশেদ আলম এমপি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আর্থ সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ খাতে ব্যাপক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গত ১৪ বছরে আমাদের সরকার দেশের আর্থ সামাজিক অগ্রগতির সুরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র ও অতি দারিদ্রতা হ্রাস করেছে। সর্ব সাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছে। শিক্ষার প্রসার ও আধুনিকতা করন ও দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ও অগ্রগতি সাধিত করেছে। এ উন্নয়নের গতিধারা ও অগ্রগতির উন্নয়ন ধরে রাখার লক্ষে এ সকল খাতে বরাদ্দ যথেষ্ট বলে মনে করেন তিনি।
২০২৩-২৪ ঘোষিত বাজেট জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সময়োপযোগী ও আত্মনির্ভরশীল করবে মন্তব্য করে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম এমপি আরও বলেন, দেশ গড়ার লক্ষে অর্থমন্ত্রী অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বিপুল ভর্তুকিসহ দেশের শিল্পকে উৎসাহ, আমদানি নিরুৎসাহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজস্ব আয় থেকে শুরু করে ব্যয়ের পরিকল্পনা সবই করা হয়েছে আগামী বাজেটে। স্মার্ট বাংলাদেশের চিত্রাঙ্কন করেছে এই বাজেটে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপের চিত্র ফুটে ওঠেছে নির্মল ভাবে। সময়োপযোগী এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এ বাজেট খুবই কার্যকর হবে। সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান দ্বিতীয় মেয়াদে এই আসনে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়ার জন্য।
বাংলাদেশের ইতিহাসে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সোনালি যুগ অতিক্রম করতে যাচ্ছে জানিয়ে আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি বলেন, এ অগ্রযাত্রা সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর পর অর্থনীতির উন্নয়ন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক, আইনশৃঙ্খলা ও পররাষ্ট্রনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।
এসময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকা সেনবাগ-সোনাইমুড়ির উন্নয়ন তুলে ধরে মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরেন জাতীয় সংসদে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, একটি মহল না বুঝেই বাজেটের সমালোচনা করছে। শুধুমাত্র সরকারের বিরোধিতা করায় এ কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০২৩-২৪ ঘোষিত বাজেট সময়োপযোগী এবং এই বাজেট অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে খুবই কার্যকর হবে। জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্যরা।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন