আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপনাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দিয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, শিক্ষার আলো জ্বলেছে সব ঘরে, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে, মানুষের যাতায়াতের সুবিধা করে দিয়েছে, আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বললেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আজকের প্রমাণিত সত্য।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এ দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করেছিল। ২০০৮ এর নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছিল, আমরা সরকার গঠন করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আবার নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে।
তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে আজকে সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী, সন্ত্রাসী দল বিএনপি-জামায়াতসহ, যারা স্বাধীনতার চেতনা বিশ্বাস করে না, তারা এদেশকে ধ্বংস করবে।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমগ্র দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপনাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দিয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, শিক্ষার আলো জ্বলেছে সব ঘরে, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে, মানুষের যাতায়াতের সুবিধা করে দিয়েছে, আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। গ্রামপর্যায়ে পর্যন্ত ওয়াইফাই কানেকশন দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, হাতে হাতে মোবাইল ব্যবহার রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে দেশ আরও উন্নত সমৃদ্ধ হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি আমাদের গড়ে উঠবে। আমার দেশ এগিয়ে যাবে। কৃষি, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজকে অগ্রগতি ভূমিকা পালন করছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদা পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে। জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বে যে মর্যাদার আসন অর্জন করেছে, সেই অর্জন ধরে রেখেই বিশ্বে আরও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে, সেটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন