রাজশাহী
সালামির লোভ দেখিয়ে শিশু অপহরণ, ধর্ষণ শেষে হত্যা
রাজশাহীতে আনিকা (৮) নামের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঈদ সালামি দিতে চেয়ে অপহরণ করে শিশুটিকে। পরে ওই শিশুর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
শনিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে তাকে অপহরণ করা হয়।
সোমবার (৩ জুলাই) ভোরে রাজশাহী নগরীর ছোট বনগ্রাম খোরশেদের মোড় এলাকার একটি পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
একই দিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাটোর থেকে অপহরণকারী যুবককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নগর পুলিশের শাহ মখদুম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপহরণকারীর নাম পলাশ। তিনি নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার শাহিনের ছেলে।
নূর আলম সিদ্দিকী জানান, ঈদ সেলামি দেয়ার কথা বলে শিশুটিকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় পলাশ। পরে তাকে ধর্ষণ করে গলাটিপে হত্যা করে। সুযোগ বুঝে মরদেহ পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায় সে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নাটোর জেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
নগরীর শাহ্ মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, গেলো শনিবার সন্ধ্যার দিকে নওদাপাড়া থেকে আনিকাকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। ঘটনা তদন্তে নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার শাহিনের ছেলে পলাশ তাকে অপহরণের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। পলাশ পুলিশকে জানায় মুক্তিপণের টাকা না দেয়ায় আনিকাকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে পলাশকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার অভিযানে নামে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন