দেশজুড়ে
পানি কমে বেড়েছে ভাঙন, আতঙ্কিত তিস্তাপাড়ের মানুষ
দফায় দফায় পানি কমলেও তিস্তা নদীর পাড়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলি ক্ষেত বিলীন হতে শুরু করেছে; আর বসতবাড়ি নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এতে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিংগীমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছসহ গোকুন্ডা ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামে ইতোমধ্যে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও বর্তমানে ব্যারেজ পয়েন্টে পানি কমেছে। তবে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে মঙ্গলবার সকালে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়ায় ফসলি ক্ষেত নদীতে বিলীন হতে শুরু করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে নদী ভাঙন দেখা দিলেও এখনো পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন আসেননি। তবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের বাঘডোবা এলাকার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন জানান, তাদের কয়েক বিঘা জমির পাটক্ষেত, ভুট্টাক্ষেত ভাঙনের কবলে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। অথচ ভাঙন রোধে কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন জানান, নদী তীরবর্তী বেশ কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দু’দিনে কয়েক বিঘা জমির ফসলি ক্ষেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে নদীভাঙন অব্যাহত থাকলে বসতভিটাও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। অথচ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দূরের কথা এখনো পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ভাঙন দেখতে আসেননি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে তিস্তাপাড়ের মানুষকে সর্তক করা হয়েছে। এ ছাড়া সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
ঢাকা
মন্দির পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আরিয়াব এলাকার সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও বিএনপি’র নেতা কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে পৌরসভার আরিয়াব দুর্গা মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মন্দির কমিটির লোকজনদেরকে যে কোনো হামলার প্রতিরোধে আশ্বাস দিচ্ছেন।
তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিবাদ লাগাতে প্রস্তুত দুষ্কৃতকারী। তাই রূপগঞ্জের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা উদ্যোগ নিয়েছে। যতদিন দেশ শঙ্কামুক্ত না হচ্ছে মন্দির ভাঙচুর প্রতিরোধে আমরা এভাবে পাহারায় থাকব।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব ভূঁইয়া বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, তারই অংশ আজকের এই পাহারা।
তারাবো পৌরসভার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাসান আরব বলেন, দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কেউ যেন সংখ্যালঘু পরিবারের উপরে হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা সবসময় পাহাড়া থাকবে।
এসয়ম উপস্থিত ছিলেন, তারাবো পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম সাউথ, সহ-সভাপতি আবুল সাউদ, আলমগীর মীর, যুবদলের সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড মোখলেস সাউথ,মকবুল হোসেন, শিক্ষার্থী হাসান ভূঁইয়া, নীরব মিল্কি, আরিয়ান প্রমূখ।
এএম/
সিলেট
সুনামগঞ্জে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছে শিক্ষার্থীরা
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিস্কারে নামেন সাদা টি শার্ট পরিহিত একটি টিম। গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল ওয়াহিদ, হেক্সাস গোবিন্দগঞ্জের শিক্ষক রেদ্বওয়ান আহমদসহ অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে ওই টিমে।
মহাসড়কের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারসহ এক দফা দাবিতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী যেভাবে সড়কে নেমে এসেছিল, তেমনি শিক্ষর্থীরা মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে সড়কে নেমে এসেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ঝাড়ু দিয়ে মহাসড়ক পরিষ্কার করে ময়লা-আবর্জনা বস্তায় ভরে নির্দিষ্ট ডাম্পিং এরিয়ায় নিয়ে যান। আর তাদের পানি ও শুকনো খাবার দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশের মতো কাজ করছে। সত্যিই এ দৃশ্য অনেক সুন্দর। আমাদের সবাইকে তাদের সাপোর্ট করা উচিৎ। এছাড়াও তারা গতরাতে মন্দির পাহারা দিয়েছে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন