অপরাধ
মালিবাগ হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে, শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় হলি লাইফ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ইয়াসিন মিয়া (১৯) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তবে, নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের নির্যাতনে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবোদের জন্য নিরাময় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের চারজনকে থানায় নিয়ে গেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
নিহত যুবক বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বড়পাশা গ্রামের মাসুম মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্টে থাকতেন।
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন ফারুক জানান, ইয়াসিনের পরিবারের লোকজন ২২ জানুয়ারি তাকে মালিবাগের হলি লাইফ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করায়। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে ইয়াসিনের বাবাকে ফোন দিয়ে বলা হয়, তাকে খিদমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তার বাবা খিদমা হাসপাতালে গিয়ে ইয়াসিনের মরদেহ দেখতে পান।
তিনি আরও জানান, ইয়াসিন মাদকাসক্ত ছিলেন। এছাড়া কিছুটা মানসিক সমস্যাও ছিল। নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন জানিয়েছেন, দুপুরে কেন্দ্রটির বাথরুমে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেন ইয়াসিন। নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য গলা থেকে টিস্যু, ভিসেরা ও রক্ত সংগ্রহ করেছি। সেগুলোর রিপোর্ট এলে জানা যাবে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইয়াসিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ডা. সোহেল মাহমুদ। মরদেহের গলায় দাগ আছে। বাম হাতে কনুইয়ের উপরে ও বাম পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি।
শেখ সোহান
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ