আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের আইনেই আছে নির্বাচন কীভাবে হবে: রাশিয়া
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের রাজনীতিবিদদের তৎপরতা নব্য উপনিবেশবাদ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে তা দেশটির আইনেই আছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) মস্কোতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার (৭ জুলাই) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে মারিয়া জাখারোভার পুরো বক্তব্য প্রকাশ করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটে মুখপাত্রের বক্তব্য সংক্ষিপ্তভাবে প্রকাশ করে।
টুইটে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার কিছু রাজনীতিবিদের চিঠি প্রকাশের বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি। এটি হচ্ছে, নব্য উপনিবেশবাদ এবং একটি স্বাধীন দেশে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের একটি অপপ্রয়াস।’
মারিয়া জাখারোভা বলেন, জুনের মাঝামাঝি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেলকে এবং একই সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে ডেমোক্রেটিক পার্টির মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের পাঠানো যে চিঠিগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তা লক্ষ্য করেছি। চিঠিগুলোতে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের চিঠির সমালোচনা করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি আগে কখনো শুনিনি যে বাংলাদেশ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য। এটা শুনিনি কারণ বাংলাদেশ এর সদস্য নয়। আমি জানতাম না যে বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমাদের যুক্তিটা এমন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রাক্-নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সেখানে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কিছু সুপারিশ তুলে ধরবেন। এটা নব্য উপনিবেশবাদ ছাড়া আর কী? এটা নগর এবং পাড়া-মহল্লার প্রতি তাদের আচরণের প্রদর্শন ছাড়া আর কী?’
এগুলো একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেন, ‘আমরা এটিও বুঝতে পারছি নির্বাচন কীভাবে পরিচালনা করতে হবে তা নিয়ে সেখানকার কর্তৃপক্ষ (বাংলাদেশ) তাদের (ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের) পরামর্শ চায়নি।’
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন যাদের সমালোচনা করে, তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠরাই তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ) কাছে যায় না। তারা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য এবং নিজেরাই নিজেদের সমস্যা মোকাবিলার কথা বলে। বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে, তা খুব স্পষ্টভাবেই দেশটির আইনে উল্লেখ করা আছে।
বাংলাদেশের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে একটি স্বাধীন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি অনুসরণের যে আকাঙ্ক্ষা ঢাকার রয়েছে, তাতে রাশিয়ার সমর্থন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মারিয়া জাখারোভা।
প্রসঙ্গত, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের টুইটের আগে একই দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্টিফেনেককে একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে অর্থবহ সংলাপের তাগিদ দেন।
গেলো মে মাসে বাংলাদেশ সরকারের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বন্ধ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি লেখেন মার্কিন কংগ্রেসের ছয় সদস্য। আর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভূমিকা রাখতে ইভান স্টিফেনেকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য গত জুনে জোসেপ বোরেলকে চিঠি লেখেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবীর মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এবং নির্বাচনকে ঘিরে বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা অমূলক এবং এর কোনো প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতি, তার শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। কাজেই বৃহৎ শক্তিগুলো এই পরিস্থিতিকে তাদের নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপট থেকে না দেখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট থেকে দেখাই ভালো। বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্রগুলো বাস্তবতা বুঝে ইতিবাচকভাবে সহায়তা করবে, নিজেদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাবে না—এটাই প্রত্যাশিত।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন? তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।
এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?
জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এমআর//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন