Connect with us

বাংলাদেশ

যুব বিশ্বকাপ শুরু আজ; রোববার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

Published

on

ব্রায়ান লারা-ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে সফলতম ব্যাটার, অধিনায়ক। তাকে বিশ্লেষণ করলে আরো নানা বিশেষণ দেয়া যাবে তা নিশ্চিত। তাহলে একটা গল্প বলি-৩৪ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় সদ্য কৈশোর পেরোনো এক তরুণের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলতে নেমেছিলো ইতিহাসের প্রথম যুব বিশ্বকাপ। পরের দেড় দশকে সেদিনের সেই কম বয়সী ক্যারিবীয় অধিনায়কের নানা কীর্তিতে ক্রিকেট ইতিহাস আজ অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। 

মাঝখানে ১০ বছরের দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আসরটি নিয়মিত মাঠে গড়াতে শুরু করার পর থেকে এমন অজস্র ভবিষ্যৎ তারকার উত্থানের ভিত্তিভূমিও হয়ে থেকেছে যুবাদের বিশ্ব আসর। ১৯৯৮ সালের দ্বিতীয় আসরেই যেমন সর্বোচ্চ ৩৬৪ রান করা এক ব্যাটসম্যান নিজের আগমনী ঘোষণা করেছিলেন। কে তিনি? পরের দুই দশকে ব্যাট হাতে বিশ্ব শাসন করা স্বঘোষিত ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল।

সেই লারা-গেইলদের ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জেই আজ থেকে শুরু হচ্ছে যুব বিশ্বকাপের ১৪তম আসর। কে বলতে পারে যে এখানেই তাঁদের মতো এক বা একাধিক ভবিষ্যৎ কীর্তিমানের বীজ বোনা হচ্ছে না? অত বড় না হোন, ভবিষ্যতের তারকা ক্রিকেটার সরবরাহের নিশ্চিত বন্দোবস্ত অন্তত করে আসতে পারছে এই আসরটি। পেছন ফিরে গেলে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি আসর থেকেই একাধিক ক্রিকেটার পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বড় মঞ্চেও আলো ছড়িয়েছেন। 

২০০০ সালে শ্রীলঙ্কায় হওয়া তৃতীয় আসর থেকেই নিজেদের পথ খুঁজে নিয়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ-ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে শিখর ধাওয়ানের এক আসরে করা ৫০৫ রানের রেকর্ড এখনো কেউ ভাঙতেই পারেনি। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় ডেভিড ওয়ার্নার, রোহিত শর্মা ও এউইন মরগ্যানদের সঙ্গে একই আসরে খেলেছিলেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালরা। ২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় হওয়া আসর শুনেছিল বিরাট কোহলি ও কেন উইলিয়ামসনদের পদধ্বনি। ২০১৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যুব বিশ্বকাপের বছরখানেকের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হৈচৈ ফেলে দেওয়া আবির্ভাব ঘটেছিল বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানেরও। যুব বিশ্বকাপকে ‘ভবিষ্যতের তারার মেলা’ তো আর এমনি এমনি বলা হয় না!

এই মেলার উদ্বোধনী দিনে আজ (শুক্রবার) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। জর্জটাউনের এভারেস্ট ক্রিকেট ক্লাব মাঠে একই গ্রুপের শ্রীলঙ্কা-স্কটল্যান্ডও একে অন্যের বিপক্ষে নামছে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অবশ্য শুরু হচ্ছে আরো দুই দিন পরে। ১৬ জানুয়ারি সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে তাঁদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে ইংল্যান্ডের। যে ম্যাচ দিয়ে এবার অন্য মর্যাদা নিয়েই যুবাদের বিশ্ব আসরটি শুরু করতে যাচ্ছেন রাকিবুল হাসানরা। এবার যে তাঁরা খেলতে নামছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই। ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতা দলের সামনে এবার পাকিস্তানের সমকক্ষ হওয়ার হাতছানিও। এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দলই পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গিয়ে শিরোপা (২০০৪ ও ২০০৬) ধরে রাখতে। কঠিন সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের গ্রুপে অবশ্য ইংল্যান্ড ছাড়া শক্ত আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই নেই। গ্রুপে কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থাকায় তাদের পরের পর্বে যাওয়া নিয়ে সংশয়ও নেই তেমন। তাই বলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রবল বিক্রমে আসর শুরুর তাড়নায়ও রাকিবুলদের কমতি নেই কোনো। গতবারের বিশ্বজয়ী দলের অপরিহার্য সদস্য এবার নেতৃত্ব পেয়ে আগে সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছেন। এর আগে ধাপে ধাপে এগোতে চাওয়ার চিন্তায় সতীর্থদের বুঝিয়ে যাচ্ছেন গতবারের সাফল্যের রেসিপিও। সেটি দলগত পারফরম্যান্সের ঝিলিক।

Advertisement

কভিড বাস্তবতায় অবশ্য বাংলাদেশই শুধু নয়, অন্য কোনো দলেরই প্রস্তুতি তেমন জমাট হয়নি। তা ছাড়া বায়ো বাবল বা জৈব সুরক্ষা বলয়ের ধকল এড়াতে আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘটনাও আছে। যুব ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় নিউজিল্যান্ডই যেমন এই আসরে দল পাঠায়নি। আফগানিস্তানেরও অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে ভিসা জটিলতার সমাধান হওয়ায় অবশেষে তারা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে যাচ্ছে। তাদের যাওয়ার বিলম্বে ‘সি’ গ্রুপের চারটি ম্যাচের সূচিও বদলানো হয়েছে। তবুও আসর ঠিকমতোই মাঠে গড়াচ্ছে। প্রস্তুতির ঘাটতি সত্ত্বেও শীর্ষ দলগুলোও রাখছে শিরোপায় চোখ। বাংলাদেশেরও চোখ আকবর আলীদের গতবারের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি।

হাসিব মোহাম্মদ

Advertisement

জাতীয়

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা

Published

on

শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা  ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে  শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ

Published

on

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন

বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”

বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং  জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement

জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ

Published

on

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।

পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

Advertisement

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it