আওয়ামী লীগ
বিএনপি নামক অপশক্তির উস্কানি থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে: সেতুমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচন ভণ্ডুলের কোনো প্রকার অপচেষ্টা চালালে এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি কর্তৃক সন্ত্রাস ও সহিংসতার সৃষ্টির অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি লাগাতারভাবে গণবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি ও আন্দোলন করে আসছে। তাদের এই তথাকথিত আন্দোলন জনগণ কর্তৃক বারবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও তারা সন্ত্রাস এবং সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপির এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সন্ত্রাস সৃষ্টির মূল লক্ষ্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করা এবং বিদেশি প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের করুণা লাভ করা। এমনকি দেশে চলমান গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ শাসনব্যবস্থাকে বিনষ্ট করার লক্ষ্যে বিএনপি নিজেদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে আত্মকলহ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তার দায়ভার সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং বানোয়াট কল্পকাহিনীর প্রতিবেদন তৈরি করে বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের সব ধরনের উস্কানি উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি নামক অপশক্তির উস্কানি ও ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপির ক্যাডারবাহিনী দেশের কোথাও যাতে কোনো প্রকার সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার এবং কোনো সহিংস ঘটনার সূত্রপাত হলে দ্রুততার সঙ্গে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণমুখী রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে তথ্যসন্ত্রাস পরিচালনার করছে, সরকার, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করছে। এ ধরনের কুৎসিত ও রুচিহীন গুজবসন্ত্রাস কেবল রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া ও বিকারগ্রস্ত বিএনপির পক্ষেই সম্ভব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংবিধানসম্মতভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অঙ্গীকারবদ্ধ। কোনো প্রকার গুজব, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিনষ্ট করতে পারবে না। নির্বাচন ভণ্ডুলের কোনো প্রকার অপচেষ্টা চালালে এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করবে।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন