খেলাধুলা
মেসিকে যেভাবে বরণ করে নিলো মিয়ামি
এবার প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। মায়ামির বাসিন্দারা বরণ করে নিলো লিওনেল মেসিকে। তবে নিজ দলের গোলাপি জার্সিতে সমর্থকদের সঙ্গে দেখা হয়নি মেসির।
সোমবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় বর্ণিল এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেসিকে স্বাগত জানায় ইন্টার মায়ামি। সেইসঙ্গে তুলে দেয়া হয় ক্লাবের ১০ নাম্বার জার্সিটাও। একইদিনে জার্সি তুলে দেয়া হয় আরেক খেলোয়াড় সার্জিও বুসকেটসের হাতেও। নিজের চিরচেনা ৫ নাম্বার জার্সিই পাচ্ছেন তিনি।
এর আগে, মায়ামিতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির কারণে মেসির অনুষ্ঠান এক ঘন্টা পিছিয়ে দেয়া হয়। মেসি অবশ্য তার পরিবারের সাথে ঠিক সময়েই এসেছিলেন। বৃষ্টি থামার পর মঞ্চ সাজিয়ে স্বাগত জানানো হয় সার্জিও বুসকেটসকে। তার হাতে জার্সি তুলে দেন ক্লাবের কর্তাব্যক্তিরা। এরপরেই মেসিকে মঞ্চে ডেকে নেয়া হয়। আতশবাজির আলোয় রঙিন হয়ে উঠে ড্রাইভ পিংক স্টেডিয়ামের আশপাশের আকাশ।
Soak it in, Leo Messi.
The warmest of welcomes to @InterMiamiCF. pic.twitter.com/STzKSDrBGh
— Major League Soccer (@MLS) July 17, 2023
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে স্বাগত জানাতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব। পারফর্ম করেছেন কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা। ছিলেন পুয়োর্তো রিকোর র্যাপার ব্যাড বানি।
এদিকে ক্লাবের পক্ষ থেকে মেসির একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে মেসি বলেন, ‘আমেরিকা এবং ইন্টার মায়ামিতে ফুটবলজীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছি। দারুণ বোধ হচ্ছে। আমার কাছে এটা একটা দুর্দান্ত সুযোগ। সবাই মিলে এই সুন্দর প্রকল্পটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা আমার। এক সঙ্গে কাজ করে নতুন কিছু অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি আমরা। এটাই এখন আমার নতুন বাড়ি। সকলকে সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
মেসির সঙ্গে ২ বছর ৬ মাসের চুক্তি সম্পন্ন করেছে ইন্টার মিয়ামি। দশ নাম্বার জার্সিতে তাকে ক্লাবে বরণ করে নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকবেন এই আর্জেন্টাইন। আগামী ২১ আগস্ট ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে এলএমএসের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে মেসির।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন