বলিউড
সালমানকে বিয়ে করতে দেশ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানি নারী
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের জীবনে অনেক নারী এসেছেন। গুঞ্জন রয়েছে তাদের অনেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ‘ভাইজান’। এদের মধ্যে কেউ তাকে বিয়ের জন্য দেশ ছেড়েছেন কিনা তা শোনা যায়নি। তবে সালমানের সাবেক প্রেমিকা সোমি আলি নাকি এমনটাই করেছিলেন বলে জানা যায় সংবাদমাধ্যমে।
নব্বই দশকে হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পাকিস্তানের বাসিন্দা সোমি। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন। তার ক্যারিয়ার শুরু বলিউড দিয়ে। মাত্র পাঁচ বছরের মতো কাজ করেছিলেন। তবে সালমানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ক্যারিয়ারের থেকেও বেশি শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
সোমি তখন স্কুলে পড়েন। তখনো সালমানকে সামনাসামনি দেখেননি। সেই সময় থেকেই নাকি নায়কের প্রেমে ডুবে ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে জানান, পরিবার আর সবার মতো তিনিও হিন্দি সিনেমার পোকা ছিলেন। স্কুলে পড়ার সময় অভিনেতার ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমা দেখেছিলেন তিনি।
সোমি ছাড়াও বলিউড নায়কের সঙ্গে সঙ্গীত বিজলানি, ফারিয়া আলম, ঐশ্বরিয়া রায়, ক্যাটরিনা কাইফের মতো অনেক তারকার নাম রয়েছে। তবে সালমানের কোনো প্রেমিক তাকে বিয়ের জন্য নিজের বাড়ি-ঘর ছেড়েছেন কিনা সেই কথা আগে কখনো জানা যায়নি।
জানা যায়, সোমি আগে আমেরিকার ফ্লোরিডায় থাকতেন। তিনিই একমাত্র কিশোরী ছিলেন, যে কিনা সালমানকে বিয়ে করবেন বলে নাকি ভারতে চলে এসেছিলেন।
এ ঘটনার দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পর বিষয়টি খোলসা করেছেন সোমি। জানান, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমাটি দেখার পর সালমানের প্রতি গভীর টান জন্মে। একরাতে তাকে স্বপ্নেও দেখেছিলাম। তখন ঠিক করি যে সালমানকে বিয়ে করব। সে জন্য ভারতে যাব। তখন বয়স মাত্র ১৬ বছর।
সোমি ১২ বছর বয়স পর্যন্ত করাচির বাড়িতে বসবাস করেছেন। এরপর ফ্লোরিডায় বসবাস শুরু করেন। কিন্তু সালমানের প্রেমে পড়ার পর বাড়ি ছাড়তে মায়ের কাছে অনুরোধ করতে থাকেন। এক সময় ভারতে চলেও আসেন। আসার সময় তার মাকে বলেছিলেন, ‘সালমানকে বিয়ে করতে মুম্বাই যাচ্ছি’।
সোমি সালমানকে স্বপ্নে দেখার কথাও জানান। সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী বলেন, নেপালের পথে রওনা দিয়েছিলাম আমরা। তখন আমার পাশেই বসেছিলেন সালমান। ওর একটা ছবি দেখিয়ে বলেছিলাম, তোমাকে বিয়ে করার জন্য এত দূর থেকে ভারতে এসেছি। এ কথায় ওর মন্তব্য ছিল, আমার গার্লফ্রেন্ড রয়েছে। আর ভাইজানের জবাবে তিনি বলেছিলেন, গার্লফ্রেন্ড থাকলেও তা পরোয়া করেন না সোমি।
সোমি জানায়, সালমানই প্রথম তাকে মুখ ফুটে ‘আই লাভ ইউ’ বলেছিল।। এরপর তারা একটানা আট বছর সম্পর্কে থাকেন। কিন্তু তবুও বিচ্ছেদ আসে জীবনে। এখন মনে হয়, সালমানকে বিয়ের জন্য ঘর-বাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়া বোকামি ছিল। আর এরপর সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আবার আমেরিকায় চলে যান সোমি আলী।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এস
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/