চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে দুদিনে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুদিনে ৪ জন মারা গেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে মো. রিয়াজুল ইসলাম আলভী (১৫) ও শারমিন হেনা রিতা (৪৫) নামের দুজন। আগের দিন মারা যান মো. আলমগীর (৩০) ও আব্দুল মান্নান (৪৫) নামের দুজন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন শিশু, ৬ জন পুরুষ ও তিনজন নারী।
এ ২৪ ঘণ্টায় ৮৭ জনের নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু শনাক্ত রোগী দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬৪ জনে। আক্রান্তদের বর্তমানে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৩৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অবশিষ্ট ১ হাজার ৮৪ জন সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিসের প্রকাশিত ১৭ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিহত ৪ জনের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এবং অন্য তিনজন বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে মারা যায়। এর মধ্যে রিয়াজুল ইসলাম আলভী নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে। আলভী কাজেম আলী সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ডেঙ্গু আক্রান্ত আলভীকে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়। শারমিন হেনা রিতা নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন রহমান নগর মসজিদ গলির বাসিন্দা। তিনিও শনিবার পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সোমবার ভোরে তিনি মারা যায়।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া মো. আলমগীর পটিয়া উপজেলার কচুয়াই কালা মসজিদ এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তিনি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা দিলকুশা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাকে শনিবার দিনের বেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতে তিনি মারা যান। আব্দুল মান্নান পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ এলাকার আবদুস সোবাহানের ছেলে। তিনি ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মতিঝিল প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হ। শনিবার তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন