বাংলাদেশ
রঙিন পোশাকে ভারতের অধিনায়ক রাহুল
পরিকল্পনা ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ভারতকে লিড দিবেন রোহিত শর্মা। কিন্তু চোট জর্জরিত ওয়ানডে অধিনায়ক রোহিত শর্মা এখনো ফিট নন। আর তাই তার বিকল্প হিসেবে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড কে সামলাবেন তা নিয়ে এতদিন জল্পনা ছিলো। অবশেষে রোহিতের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার কে এল রাহুল।
এর আগে টেস্ট সিরিজেও কোহলি ইনজুরিতে পড়ায় তার জায়গায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলেছেন রাহুল। সাম্প্রতিককালে ভারতীয় ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চললেও রাহুলকে অধিনায়ক করার পেছনের রোহিতের ইনজুরিই প্রধান কারণ।
হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও রোহিত শর্মাকে পাচ্ছে না ভারত। চোট থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন লোকেশ রাহুল। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে পেসার জসপ্রিত বুমরাহকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ১৮ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে ভারত। দলে ফিরেছেন বিরাট কোহলি, রিশভ পান্ট, জসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। প্রথমবার ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
এ ছাড়া সুযোগ পেয়েছেন সাড়ে চার বছর ধরে ওয়ানডে দলের বাইরে থাকা অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে না পারা অফস্পিনিং অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দরকে রাখা হয়েছে স্কোয়াডে। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে ফিটনেস না থাকায় বাদ পড়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) পার্লে হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। এছাড়া একই মাঠে ২১ জানুয়ারি দ্বিতীয় ও ২৩ জানুয়ারি কেপটাউনে হবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
এদিকে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে রাহুলকে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হওয়ার আগে আমি খুব একটা মাথা ঘামাইনি। জোহানেসবার্গে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। খেলার ফল আমাদের পক্ষে না গেলেও আমি অনেক কিছু শিখেছি। তার জন্য আমি গর্বিত।’
দায়িত্ব পেলে তিনি সম্মানিত বোধ করবেন বলেও জানিয়েছেন রাহুল। বলেন, ‘দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সব সময় বিশেষ অনুভূতি। যদি আমাকে টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয় তাহলে সেটা অনেক বড় দায়িত্ব হবে। আমি সেই দায়িত্ব নিতে তৈরি। তবে এই মুহূর্তে আমি অত কিছু ভাবছি না। শুধু সামনের ম্যাচের কথা ভাবছি।’
ভারতের ওয়ানডে স্কোয়াড :
লোকেশ রাহুল (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়াস, আইয়ার, ভেঙ্কাটেশ আইয়ার, রিশাভ পান্ত (উইকেটকিপার), ইশান কিষান (উইকেটকিপার), যুজবেন্দ্র চেহেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ওয়াশিংটন সুন্দর, জাসপ্রিত বুমরাহ (সহ-অধিনায়ক), ভুবনেশ্বর কুমার, দিপক চাহার, প্রসিধ কৃষ্ণা, শার্দুল ঠাকুর, মোহাম্মদ সিরাজ।
হাসিব মোহাম্মদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ