রাজশাহী
বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল : আইজিপি
স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে বাংলাদেশ পুলিশকে ‘স্মার্ট পুলিশে পরিণত করার লক্ষ্যে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পুলিশের জনবল ও সক্ষমতা যেমন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি উন্নততর প্রযুক্তি ও সর্বোত্তম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহীস্থ পুলিশের রয়েছে অসামান্য অবদান এবং বর্তমানেও তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে পুলিশি দায়িত্ব পালন করে চলেছে। ঠিক একইভাবে সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাবে।
আরএমপি’র ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর ভেড়িপাড়া মোড়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করে। র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। র্যালিটি ভেড়িপাড়া মোড় হতে শুরু হয়ে পুলিশ লাইনস্ েএসে শেষ হয়। র্যালী পূর্বে আইজিপি বেলুন ফেস্টুন ও কবুতর অবমুক্ত করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথি আইজিপি আরএমপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেট কাটা কটেন ও স্বরণিকা ‘নবচেতনায় আরএমপি’র মোড়ক উম্মোচন করেন। এরপর আরএমপি’র আদালতে সাক্ষী হাজির ব্যবস্থাপনা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন সফটওয়ারের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। এসময় পুলিশ কমিশনার প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানণা স্মারক প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, এক সময় বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ভয়াবহ প্রকোপ ছিল। বাংলাদেশ পুলিশ তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের নিকট উন্নয়নের রোল মডলে। তিনি আরও বলেন, সাইবার অপরাধ সনাক্তকরণে আরএমপিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং মহানগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগরীর সর্বত্র সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সরদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মীর রেজাউল আলম, রাবি উপচার্য প্রফেসর ড. মো: গোলাম সাব্বির সাত্তার , রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: আব্দুল খালেক, ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাবির উপউপাচার্য প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালসহ আরএমপির বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন