আইন-বিচার
এখলাস হত্যার পরিকল্পনাকারী লেদার মনিরসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার
রাজধানীর লালবাগের জমি ব্যবসায়ী এখলাস হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী লেদার মনিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জোরপূর্বক জমি কিনতে না পেরে মনিরের সুনিপুণ পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী এখলাসকে।
আজ শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।
হত্যায় সম্পৃক্ততা এড়াতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কলকাতা চলে যান মনির। মনিরের ম্যানেজার ঝন্টু মোল্লা থাইল্যান্ড চলে যায়। গত ২০ জুলাই ঢাকায় পৌঁছালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যবসায়ী হত্যায় ঝন্টুর সম্পৃক্ততা মিলেছে।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মনির ব্যবসায়ী এখলাসকে হত্যায় নিজেই ২০ লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন। এরমধ্যে হত্যার শুরুতে কিলারদের ১১ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে পুরো হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সাজিয়েছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা এড়াতে তিনি জঙ্গিদের মতো ‘কাটআউট’ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।’
তিনি বলেন, এখলাস খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের জন্য উপযুক্ত সময় হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ঈদুল আজহার আগের রাত। সেই রাতে বাসা থেকে বের হয়ে এখলাস আর ফেরেননি। নিখোঁজের দুদিনের মাথায় কামরাঙ্গীরচর থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এখলাস খুনের পর ১ জুলাই কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা হয়। এই ঘটনায় পর্যায়ক্রমে মূল পরিকল্পনাকারী মনির হোসেন ওরফে লেদার মনির ওরফে কোম্পানি মনিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।’
ছায়া তদন্তকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ ২০ জুলাই থাইল্যান্ড থেকে আকাশ পথে ঢাকায় ফেরত আসার পর বিমানবন্দর এলাকা থেকে পাসপোর্টসহ গ্রেপ্তার করে হত্যায় জড়িত ঝন্টু মোল্লাকে। সেই মূলত কোম্পানি মনিরের ক্যাশিয়ার। বর্তমানে ঝন্টু চারদিনের পুলিশি রিমান্ডে আছেন। তার দেওয়া তথ্যমতে ডিবির একটি টিম রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড ও কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে এখলাসকে হত্যাকারী আব্দুর রহমান ওরফে রহমান কাল্লুকে এবং সমন্বয়কারী মো. এছহাককে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া ডিবির অপর দুইটি টিম মাগুরা এবং যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত ফয়সাল এবং মূল পরিকল্পনাকারী মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
নোয়াখালীর এক দিনমজুর আব্দুর রহিমের ছেলে মনির হোসেন। ৭০ দশকে আব্দুর রহিম হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানায় ডেইলি লেবারের কাজ করতেন। ১৯৮০/৮২ সালে আব্দুর রহিমের সঙ্গে মনিরও ট্যানারি কারখানায় চামড়ার গায়ের ময়লা পরিষ্কারের কাজ নেন। পরবর্তীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের পৃষ্ঠপোষকতায় নিজেই কাঁচা চামড়া কেনা-বেচা শুরু করেন। পাশাপাশি জমি দখল ও ভূমির দালালি করতেন। এভাবেই শূন্য থেকে মনির হয়ে যান চার-পাঁচটি ট্যানারির মালিক। যা থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন