আইন-বিচার
বিএনপি নেতা খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
নরসিংদী জেলা শাখার দুই ছাত্রদল নেতা হত্যার মামলার প্রধান আসামী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেছেন আদালত।
নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ মুশতাক আহমেদ তার আবেদন মঞ্জুর না করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘উচ্চ আদালতের চার সপ্তাহ জামিন শেষে আজ নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে নিম্ন আদালতে হাজির হতে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু তাঁর আবেদন নাকচ করে দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।’
বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নজরুল ইসলাম জানান, তিনি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা, একইসাথে তাঁর জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে আদালতে আত্নসমর্পণের সময় চেয়ে আবেদন করলে ,আদালত ও-ই গ্রাউন্ড বিবেচনায় না নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেন।
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) নিম্ন আদালতে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের আত্নসমর্পণের শেষ দিনে উপস্থিত থাকার কথা থাকলে আদালত চত্ত্বর ঘিরে কঠোর পুলিশী নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেয়া হয়। এ সময় সকাল থেকে শহরের ডিসি রোডের নতুন শিল্পকলা একাডেমির প্রবেশ পথ মোড় হতে জেলখানা মোড় থেকে আসা এসপি অফিস পথে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন ( ডিএসবি) জানান, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়েছি। এই ধরনের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আমরা প্রয়োজন সাপেক্ষে নিয়ে থাকি”। এখানে অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই।’
প্রসঙ্গত, গেলো ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি ও মেহেদী হাসান রিফাতকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি বাতিলের দাবি ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করে আসছিলেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন