বাংলাদেশ
মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার ক্যাম্পেইন শুরু
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় ১০ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইন।
এ ক্যাম্পেইন চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে কারওয়ান বাজার ডিএনসিসি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে থেকে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ও সাধারণ সর্বমোট ৭২ জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে ১০ দিনে প্রায় ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে। শপিং মল, বাস স্ট্যান্ড ও কাঁচাবাজারসহ জনসমাগমস্থলে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।
ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করে মেয়র নিজে কারওয়ান বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। যারা মাস্ক পরেনি তাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, নিজে সুস্থ থাকার জন্য মাস্ক পরতে হবে। আপনি মাস্ক পরলে যেমন ভালো থাকবেন তেমনি আপনার পরিবারের সদস্যসহ অন্য মানুষরাও ভালো থাকবে। তাই নিজের জন্য এবং সবার জন্য আপনাকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
কারওয়ান বাজারের এক পথচারী মাস্ক না পরে হাঁটার সময় তাকে ডাকেন মেয়র এবং তার কাছে জানতে চান সে কেন মাস্ক পরেনি। উত্তরে ওই পথচারী বলেন, ভুলে গেছি। কিন্তু সে নিজে জ্যাকেট পরে ছিল, তাই মেয়র তাকে বলেন, ঠান্ডা লাগবে তাই যেমন জ্যাকেট পরেছেন, এটা ভুলে যাননি। তেমনি নিজে এবং অন্যদের করোনা থেকে মুক্ত থাকতে ভালো থাকতে মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে আমারা সচেতনতা সৃষ্টি করতে এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছি, ক্যাম্পেইনে আমরা ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করব। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ক্যাম্পেইন সময় এবং মাস্ক বিতরণের সংখ্যা আরও বাড়াব। এছাড়া প্রথমে আমারা সচেতনতা সৃষ্টির পর পরবর্তি সময়ে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা করব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসির সব কাউন্সিলরের কার্যালয়ে ইতোমধ্যে এ ৫ লাখ মাস্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনের ১০ দিনে প্রায় ৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে।
এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় জনসচেতনতামূলক বার্তা মাইকিং করে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে আগত মুসল্লিদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ এবং জনস্বার্থে জারিকরা সরকারি নির্দেশনাসমূহ মসজিদের মাইকে প্রচারের জন্য বলা হয়েছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে।
মুক্তা মাহমুদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ