আওয়ামী লীগ
কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াল আওয়ামী লীগ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। তবে প্রতিটি থানা ওয়ার্ড কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবেন। জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে প্রতিটি থানা ওয়ার্ড কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারা দেবেন।
রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেন, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে আয়োজিত মহা-সমাবেশ থেকে শনিবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি বার্তা পাঠানো হয়, সেখানে দুই দলকেই অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি না দেয়ার বিষয়টি জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, শনিবার (২৯ জুলাই) বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন রাজধানীর ঢাকার সব প্রবেশমুখে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে এই অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি। আইনশৃঙ্খলা অবনতির গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও জনদুর্ভোগের বিষয় বিবেচনায় আগামীকালের সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান কর্মসূচি পালনে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হলো না।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের আয়োজিত শান্তি
দ্বিধায় বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোও
এদিকে ডিএমপির এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।
শুক্রবার রাতে দলটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেহেতু অনেক রাতে ডিএমপির থেকে এ নির্দেশনা এসেছে তাই এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। শনিবার (২৯ জুলাই) কর্মসূচি পালন করা কিংবা না করার সিদ্ধান্ত হবে।
শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এখন কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি আমরা। আগামীকাল সকালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন