ফুটবল
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সেভিয়াকে হারিয়ে কোপার ফাইনালে বার্সা
আবারোও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান দিলো বার্সেলোনা। কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২ গোলে পরাজিত হয়ে দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির গড়লো কাতালানরা। সেই সাথে টিকিয়ে রাখলো মৌসুমের প্রথম শিরোপা জয়ের আশা।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যে বার্সার আসল রূপের দেখা মেলে তার আরও একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের মঞ্চায়ন হলো হাজারও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকা ক্যাম্প ন্যুতে।
গতরাতে ঘরের মাঠে কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে যখন সেভিয়ার মুখোমুখি হয় বার্সা তখন পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে ছিল না। গত মাসে হওয়া প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে লজ্জাজনক পরাজয়ের কারণে ঘরের মাঠে বড় জয়ের কোন বিকল্প ছিল না ব্লগ্রানাদের।
শুরুতে এক গোল পেলেও বিদায়ের শঙ্কায় ছিল বার্সেলোনা। খেলার অন্তিম মুহূর্তে হেড থেকে গোল করে বার্সেলোনার ফাইনালের স্বপ্নে অক্সিজেন পাইয়ে দেন জেরার্ড পিকে। আর যোগ করা সময়ে হেড থেকে মার্টিন ব্রাথওয়েট গোল করে কাতালানদের ফাইনাল নিশ্চিত করেন।
ঘরের মাঠে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখে ম্যাচের শুরুতে ডেম্বেলের গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ১২ মিনিটের সময় ডেম্বেলেকে বল বাড়িয়ে ডি বক্সে ঢুকে যান মেসি। কিন্তু ফরাসি ফরোয়ার্ডকে পাসের সুযোগ দেননি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। ডি বক্সের বাইরে থেকে আরেকটু সরে গিয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় বার্সেলোনার এক শূন্য গোলে এগিয়ে।
গোল খেয়ে বিরতি থেকে ফিরে আরও রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করে সেভিয়া। বার্সেলোনার একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে দিতে থাকে সফরকারীরা। ৬৭তম মিনিটে দেম্বেলের ক্রসে জর্দি আলবার ভলি ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ৪ মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে পেনাল্টি পায় সেভিয়া। বার্সেলোনার ডি-বক্সে ঢুকে পড়া লুকাস ওকাম্পোসকে ডিফেন্ডার অস্কার মিনগেসা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সেভিয়া। যদিও আর্জেন্টাইন তারকার ওকাম্পোসের দুর্বল স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম ন্যু ক্যাম্পে পেনাল্টি ঠেকালেন জার্মান এই গোলরক্ষক।
গোল করার সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও ঘরের মাঠে জয়ের কল্যাণে ফাইনালের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলো সেভিয়া। তবে সফরকারীদের সেই স্বপ্নে জল ঢেলে দেন জেরার্ড পিকে। ম্যাচের ঠিক অন্তিম মুহূর্তে বদলি হিসেবে নামা গ্রীজম্যানের বাঁ দিক থেকে বাড়ানো পাস থেকে হেডে গোল করে কাতালানদের উচ্ছ্বাসে ভাসান বার্সা ডিফেন্ডার।
নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-০ গোলে সমাপ্ত হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে খেলায় ২-২ গোলের সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। যার শুরুতেই জর্দি আলবার পাস থেকে গোল করে বার্সাকে স্বপ্নের লিড এনে দেন ব্রেথওয়েট। বাকি সময়ে সেই এক গোলেরলিড ধরে রাখে কাতালানরা। সেই সাথে পৌঁছে যায় কোপা দেল রে’র ফাইনালেও।
স্প্যানিশ কোপা দেল রে’র ফাইনালে প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফলতম দল বার্সার প্রতিপক্ষ হবে লেভান্তে বনাম অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের মধ্যে বিজয়ী দল।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//